বন্যার পানিতে ডুবে এক সপ্তাহে ১২ জনের মৃত্যু

 

শেরপুরভারীবর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে শেরপুরে প্রতিদিনই নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে শেরপুরে বন্যার পানিতে ডুবে আট শিশুসহ ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৯ জুলাই) শেরপুর সদর উপজেলার পৃথক স্থানে চার শিশুর মৃত্যু হয়। নিহতরা হলো- শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া এলাকার খলিলুর রহমানের মেয়ে খুশি আক্তার (৬), ভাগলগড় গ্রামের সামেদুল ইসলামের ছেলে রুবেল হোসেন (৮), কামারের চর ইউনিয়নের চরবভবনা এলাকার মোফাজ্জল মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া (৮) ও শেরপুর পৌর এলাকার নওহাটার মহল্লার নায়েব আলীর ছেলে মেহেদী হাসান (১৩)।

শনিবার (২০ জুলাই) চর শেরপুর ইউনিয়নের নামাপাড়া গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে নুপুর (৭) নামে এক শিশুসহ চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের কুলুরচর বেপারিপাড়া গ্রামের হারুন অর রশিদ (৪০) নামে একজন মারা গেছে।


শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজ আল মামুন ও শেরপুর সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আকবর আলী এসব মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, বন্যার পানিতে টইটুম্বুর উত্তর গৌরীপুরের একটি ডোবায় বন্ধুদের সঙ্গে ভেলায় চড়ে খেলতে যায় মেহেদী হাসান। পরে পড়ে গিয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। একইদিন দুপুর ২টার দিকে চর ভাবনা গ্রামের দুই শিশু ভেলায় চড়ে খেলতে গিয়ে তারাও পানিতে পড়ে যায়। এসময় একজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হলেও মোফাজ্জলের ছেলে শামীমকে উদ্ধার করা হয় মৃত অবস্থায়। সাতপাকিয়া গ্রামের খলিলুর রহমানের শিশু মেয়ে খুশি নিজ ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় পানিতে পড়ে গিয়ে মারা যায়। এছাড়া শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে শেরপুরের শ্রীবরদীর গেরামারা ফকিরেরভিটা খালে সাঁতার কেটে খাল পার হওয়ার সময় নুর ইসলাম ওরফে ছোট গেল্লা (৩০) নামের এক ইটভাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়। একই উপজেলায় রবিবার (১৪ জুলাই) কাজলদহ বিলে মাছ ধরতে গিয়ে হাসমত আলীর (২৮) মৃত্যু হয় এবং মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বন্যার পানিতে ডুবে পৌরশহরের পূর্ব তাতিহাটি এলাকায় হামিদ (৯) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৪ জুলাই) ঝিনাইগাতী উপজেলার ঘাগড়া সরকারপাড়া গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে এক বছর বয়সী শিশু মাহিনের মৃত্যু হয়। একই উপজেলা সারিকালিনগর গ্রামে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বন্যার পানিতে ডুবে আছিমন নেছা (৯৭) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ঝিনাইগাতীর সোমেশ্বরী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ শিক্ষার্থী মামুনের (১৩) লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।