হাতি আতঙ্কে জামালপুরের সীমান্তবর্তী ৬ গ্রামের মানুষ

বন্য হাতির দলজামালপুর সীমান্তে আবারও হাতির উপদ্রুপ বেড়েছে। মাঝে মধ্যেই বন্য হাতি সীমান্তের গ্রামগুলোতে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালায়। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে প্রায় অর্ধ শতাধিক হাতির একটি দল বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের সোমনাথপাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে  প্রবেশ করেছে। এই হাতির ভয়েই বকশীগঞ্জের সীমান্তবর্তী কামালপুর ইউনিয়নের সোমনাথপাড়া, গাঢ়োপাড়া, টিলাপাড়া, যদুরচর, সাতানীপাড়া ও মীর্ধাপাড়ার ৬ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে ভারতীয় বন্য হাতির দল সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। হাতির তাণ্ডব ঠেকাতে জেনারেটর দিয়ে আলো জ্বালানো হয়েছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

স্থানীয় বাসিন্দা আবু তালেব জানান, প্রতিবছর বিশেষ করে অক্টোবরের শেষ দিকে রূপা আমন কাটার সময় খাদ্যের জন্য হাতি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এবার অনেক আগেই হাতির দল বাংলাদেশে এসেছে। কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষা করতে জমির চারদিকে বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘেরার চেষ্টা করছে।  হাতির কবল থেকে জানমাল রক্ষার্থে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা টহল বাড়িয়েছে।

জামালপুর ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল এসএম আজাদ  জানান, হাতির কারণে সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার্থে বিজিবি সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়েছে।

 বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত  কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত)তাহের উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে হাতি প্রবেশের কথা শুনে আমরা সাব-ইন্সপেক্টর শরীফ উদ্দিনকে সঙ্গীয় বাহিনী দিয়ে ওই এলাকায় পাঠিয়েছি।

জামালপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) এনামুল হক  জানান, হাতি থেকে জানমাল রক্ষার্থে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি হাতি উপদ্রুপ এলাকায় জেনারেটর ও বৈদ্যুতিক বাতি সরবরাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।