জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

বাসা বাড়িতে বন্যার পানি উঠেছেজামালপুরের বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিতে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাইসহ অন্যান্য শাখা নদীর পানিও। ফলে অপরিবর্তিত রয়েছে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) বেলা ৩টার দিকে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আব্দুল মান্নান এসব তথ্য জানান।

ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ায় জামালপুর সদর উপজেলার কিছু নিচু এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। জেলার ৪২টি ইউনিয়নের তিন লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। নলকূপ তলিয়ে আছে। বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে থাকায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

প্লাবিত এলাকাবন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির পাট, আউশ, বাদাম ও সবজিসহ বিভিন্ন ফসল। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যর সংকট।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মাদারগঞ্জের সিঁধূলী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানি ঢুকে পড়ছে সদরের ব্রহ্মপুত্র নদ তীরবর্তী নিন্মাঞ্চলেও। সব মিলিয়ে জেলার ৭ উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নের প্রায় ৪ লাখ মানুষের দিন কাটছে পানিবন্দি অবস্থায়।

যমুনা নদীর পানি না বাড়লেও বন্যার পানি লোকালয়ে প্রবেশ অব্যাহত থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কবলিতদের। দুর্ভোগে পড়া বন্যা কবলিতদের জন্য ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

প্লাবিত এলাকাজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী জানান, পুরো জেলার ৪২টি ইউনিয়নের চার শতাধিক গ্রামের তিন লাখ আট হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। বানভাসীদের জন্য ৬০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এসব ত্রাণ পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ জানান, যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের আশঙ্কা, ভারতে যদি বন্যা হয় তবে বাংলাদেশে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা হবে।