সরকার দেশে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি করবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

ব্রহ্মপুত্র নদের খনন কাজ উদ্ভোধনকালে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বর্তমান সরকার দেশে দশ হাজার কিলোমিটার নৌপথ তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি। তিনি শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের আয়োজনে শেরপুরের ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় জেলার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের খনন কাজ উদ্ভোধনকালে এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পলি পড়ে যে সব নদীপথ বন্ধ হয়ে গেছে সেই নদীগুলো খনন করে নদীপথ সৃষ্টি করতে চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি তার নির্বাচনী অঙ্গীকার। আর সেই ধারাবাহিকতায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের এই প্রকল্পটি উদ্ভোধন করা হলো। দেশে আগামী দিনে কিভাবে নদীমাতৃক বদ্বীপ স্থায়ী হবে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী ডেল্টা প্ল্যান দিয়েছেন। এই বদ্বীপ পরিকল্পনাই হচ্ছে নদী ব্যবস্থাপনা। নদী খননের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে এই নৌপথ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরও বলেন, এখন নদীগুলোর খনন কাজ শুরু হয়েছে। খনন কাজ শেষ হলে পণ্যবাহী নৌযান সহজেই চলাচল করতে পারবে। কৃষকরা নদী থেকে পানি নিয়ে সেচ কাজে ব্যবহার করতে পারবেন এবং মৎস্য খাতেও অসামান্য অবদান রাখবে। তাতে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সরকার দলীয় হুইপ ও শেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আতিউর রহমান আতিক, প্রতিমন্ত্রীর সফরসঙ্গী লক্ষীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান, সাবেক নৌ সচিব এসডিএফ চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ ফারুক।

বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক এটিএম জিয়াউল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম, পৌর মেয়র আলহাজ গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আকবর আলী প্রমুখ।

এ সময় স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, এলাকার নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, শেরপুর সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে ভাটিপাড়া চর পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার নৌপথ। ১শ’ ৬৯ কোটি ২২ লাখ ১৪ হাজার ১০ টাকা ব্যয়ে এ পথটি খনন করা হবে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নবারুন ট্রেডার্স, আনোয়ার খান মডার্ন ড্রেজিং করপোরেশন ও ওয়েস্টারর্স ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড।