শেরপুরে বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু

বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় শেরপুরে দুই কৃষি শ্রমিক ও দুই কিশোরসহ চারজনের মৃত্যু এবং চারজন আহত হয়েছেন। বুধবার (১১ আগস্ট) দুপুরে জেলার বিভিন্ন জায়গায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন- শেরপুরে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল খালেকের ছেলে মো. মোস্তফা (৪০), নকলা উপজেলার লাভা গ্রামের মো. বদিউজ্জামানের ছেলে মো. আজিজুল হক (৩৬), শ্রীবরদী উপজেলার মো. আব্দুল হামিদের ছেলে মো. আরমান হোসেন (১৫) ও ঝিনাইগাতী উপজেলার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রাসেল মিয়া (১৪)।

আহতরা হলেন- সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের মো. ফজু মিয়ার ছেলে মো. বদু মিয়া ও মৃত জোসনা মিয়ার ছেলে মো. আবু সাঈদ; নকলার লাভা গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে বাবু মিয়া ও মোক্তার হোসেনের ছেলে মো. হুমায়ুন ওরফে ফকির।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার বেলা ১২টার দিকে বৃষ্টিপাতের সময় সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামে কৃষি জমিতে আমন ধানের চারা রোপণকালে হঠাৎ বজ্রপাত হলে কৃষি শ্রমিক মোস্তফা ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং বদু মিয়া ও আবু সাঈদ গুরুতর আহত হন। সাড়ে ১২টার দিকে নকলা উপজেলার লাভা এলাকায় কৃষি জমিতে ধান রোপণের সময় বজ্রপাত হলে কৃষি শ্রমিক মো. আজিজুল হক মারা যান। এ সময় মো. হুমায়ুন ও বাবু মিয়া আহত হন। অন্যদিকে, একই সময় বজ্রপাতে শ্রীবরদী উপজেলার গোশাইপুর এলাকায় কিশোর আরমান হোসেন ও ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা এলাকায় মারা যান কিশোর রাসেল মিয়া। সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শেরপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. খাইরুল কবীর সুমন বলেন, ‘বজ্রপাতের ঘটনায় দুইজন সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে বদু মিয়া নামে একজন সুস্থ রয়েছেন। তবে আবু সাঈদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’