এমপিকে না জানিয়ে সোয়া কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান

ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলকে না জানিয়ে তার বিশেষ বরাদ্দ থেকে প্রায় সোয়া কোটি টাকা ব্যয়ে একটি সড়ক নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। পরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীর হস্তক্ষেপে টেন্ডার আহ্বান কার্যক্রম বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, গফরগাঁও উপজেলার মশাখালী টানপাড়া বারো মসজিদ রেললাইন পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নের জন্য এক কোটি ২৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৬ টাকার দরপত্র আহ্বান করেন ময়মনসিংহের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিদুজ্জামান খান। আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

গফরগাঁও পৌর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান সজীব জানান, স্থানীয় এমপি ফাহমি গোলন্দাজ বাবেলকে আড়ালে রেখে আইন অমান্য করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তারা এই টেন্ডার আহ্বান করেছেন। যে এলাকায় সড়ক নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে সেটি জনগুরুত্বপূর্ণ না। এছাড়াও জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক থাকলেও এমপির ডিও লেটার ছাড়াই তার বিশেষ বরাদ্দের টাকা থেকে পরিকল্পিতভাবে এই কাজটি করেছেন কর্মকর্তারা। এই খবর ছড়িয়ে পড়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহিদুজ্জামান খান বলেন, ‘বিশেষ একটি তদবির থাকায় এমপি মহোদয়ের বরাদ্দ থেকে এই প্রকল্পটি গফরগাঁও উপজেলা প্রকৌশল অফিস থেকে প্রস্তাবনা আকারে পাঠানো হয়। প্রস্তাবনা পেয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই প্রকল্পটি বাতিল করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

এ বিষয়ে এমপি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল বলেন, ‘আমাকে না জানিয়ে এবং আমার ডিও লেটার ছাড়াই সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূতভাবে সড়ক নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তুত করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। বিষয়টি প্রধান প্রকৌশলীকে জানানোর পর দরপত্র বাতিল করার উদ্যোগ নিচ্ছেন প্রকৌশলীরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘সড়ক নির্মাণের জন্য প্রকল্প কার্যক্রম প্রস্তুত করতে সরকারের অনেক টাকা ব্যয় হয় এবং এই দরপত্র আহ্বানের জন্য অনেক টাকা দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে হয়। নির্বাহী প্রকৌশলী ও তার সহকর্মীদের খামখেয়ালির কারণে সরকারের টাকা এভাবে খরচ হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।’