প্রধান শিক্ষকের স্কুলপড়ুয়া মেয়ের বিয়ে বন্ধ করলো প্রশাসন

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে জামালপুরের বকশীগঞ্জে বাল্য বিয়ে বন্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন। ফোন পেয়েই বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন বকশীগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যরা। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বর যাত্রীসহ কন্যার অভিভাবকরা পালিয়ে যান।

এরপর সেখানে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা। তিনি কন্যার বাবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ডেকে এনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন এবং মুচলেকা নেন। এ ঘটনায় পুরো বকশীগঞ্জে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

রবিবার (৩ অক্টোবর) রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নে ধারারচর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। 

কামালেরবার্তী পুলিশ তদন্ত ফাঁড়ির এসআই তাজুল ইসলাম জানান, রবিবার রাতে ধারারচর গ্রামের এক প্রধান শিক্ষকের নবম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যাকে বাল্যবিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দৌড়ে পালিয়ে যায় উভয়পক্ষ। এতে পণ্ড হয়ে যায় বিয়ে।

এ বিষয়ে ইউএনও মুনমুন জাহান লিজা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিবাহ নিরোধ আইনে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।