মোবাইলে প্রেম, ধানক্ষেতে দেহ, ডোবায় ​মস্তক

মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক। এরপর বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে প্রেমিকাকে হত্যা করে প্রেমিক। পরে লাশ দুই টুকরো করে খণ্ডিত মস্তক ডোবায় ও দেহ ধানক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায়।

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কাটাখালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রাম থেকে মস্তকবিহীন এক নারীর (২৫) লাশ উদ্ধারের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে এসব তথ্য জানতে পারে র‌্যাব-১৪। পরে ঘটনায় জড়িত এক যুবককে গ্রেফতার করে র‌্যাব। যুবকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই নারীর খণ্ডিত মস্তক একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব-১৪ মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হান্নানুল ইসলাম।

গ্রেফতার সেলিম মল্লিক

তিনি বলেন, ২ জানুয়ারি ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের কাটাখালি গ্রাম থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মস্তকবিহীন দেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় ত্রিশাল থানায় হত্যা মামলা হয়। মামলার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনায় সেলিম মল্লিক (৩০) নামে এক যুবকের সম্পৃক্ততা পায় র‌্যাব। পরে অভিযান চালিয়ে বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাতে কাটাখালি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে সেলিম মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম নির্মম হত্যাকাণ্ড কীভাবে ঘটিয়েছে তার বর্ণনা দেয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে কাটাখালি গ্রামের ডোবা থেকে ওই নারীর খণ্ডিত মস্তক উদ্ধার করে র‌্যাব।

হান্নানুল ইসলাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম র‌্যাবকে জানিয়েছে, ওই নারীর নাম সুলতানা বেগম। তার বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার চেংমারী ইউনিয়নে। সুলতানা চাকরি সূত্রে গাজীপুরে বসবাস করতেন। তার সঙ্গে মোবাইলে পরিচয় হয় সেলিমের। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। একপর্যায়ে সুলতানাকে বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। এরপর সুলতানার মস্তক আলাদা করে দেহ কাটাখালি গ্রামের ধানক্ষেতে ফেলে দেয়। পাশের একটি ডোবায় ফেলে দেয় মস্তক। বিয়ে করার জন্য চাপ দেওয়ায় সুলতানাকে হত্যা করেছে সেলিম।