ময়মনসিংহে ইউপি নির্বাচন

বহিষ্কার হয়েও ২৫ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত, দলে ফেরার আশা

‌‘আওয়ামী লীগের নির্বাচনি নৌকা মার্কা ঠিক আছে, কিন্তু মাঝি ঠিক ছিল না। এ জন্য আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হওয়ার পরও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জনগণ আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। বহিষ্কার করার পরেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সঙ্গে ছিলেন বলেই নির্বাচনে বিপুল ভোটে পাস করা সম্ভব হয়েছে। আগেও আওয়ামী লীগে ছিলাম, বহিষ্কার হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরেও আওয়ামী লীগেই আছি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা নিয়ে জনগণের সেবা করতে চাই।’ 

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কাকনি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া পরেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া আব্দুল খালেক তালুকদার এসব কথা বলেন। এ পর্যন্ত জেলার ময়মনসিংহ সদর, ত্রিশাল, মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া, গৌরীপুর, তারাকান্দা, হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলার ৭৭টি  ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের ৩৬ জন, আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ২৫ জন, বিএনপি থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১৫ জন এবং জাতীয় পার্টি থেকে একজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

আব্দুল খালেক তালুকদার আরও বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছিল। এখন নির্বাচিত হওয়ার পর আশা করছি দল আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেবে।  দলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা নিয়ে সামনের দিনে সব ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখে জনগণের সেবা করতে চাই।
 
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল তার প্রতি দলের নেতাকর্মী এবং জনগণের আস্থা ছিল না।  তিনি এর আগেও দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। নির্বাচিত হয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি এবং নানা দুর্নীতির কারণেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং জনগণ তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সহযোগিতা নিয়ে সামনের দিনে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই। দল যদি আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে দলে ফিরিয়ে না নেয়, তাহলে আমি মনে করবো আওয়ামী লীগে ছিলাম, আওয়ামী লীগেই আছি।