ময়মনসিংহে বোরো রোপণের ধুম, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়ানোর আশা

বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন ময়মনসিংহের কৃষকরা। মাঘের শীত ও ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে তারা মাঠে নেমেছেন। বোরো চাষে লাভবান হওয়ায় আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। এবার বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা স্থানীয় কৃষি বিভাগের।

ময়মনসিংহ সদরের সুহিলা গ্রামের কৃষক মাসুদ রানা বলেন, ৬৫ শতক জমিতে বোরো আবাদের জন্য দুই মাস আগে হাইব্রিড সুপার জাতের তিন কেজি ধান বীজ কিনে আনেন। এরপর বীজতলা প্রস্তুত করেছেন। এখন জমি চাষ করে সেচ দিয়ে চারা রোপণ শুরু করেছেন। চারা রোপণে ১০ জন শ্রমিক লাগবে। বর্তমানে প্রতিজন শ্রমিকের মজুরি ৫০০ টাকা। চারা রোপণের পর প্রয়োজনমতো ইউরিয়া, টিএসপি, ফসফরাস ও সালফার সার ব্যবহার করতে হবে। 

তিনি আরও জানান, চারা রোপণের সাত দিনের মাথায় আগাছা দমনের জন্য এক ধরনের লিকুইড কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। এরপর বোরো আবাদের পরিচর্যা শুরু। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবং ভালো ফলন হলে বোরো আবাদ থেকে ৩০-৪০ মণ ধান ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মাসুদ। 

ময়মনসিংহে বোরো আবাদে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়ানোর আশা

গোপালনগর গ্রামের কৃষক আব্দুল বারী জানান, জানুয়ারির শুরু থেকে বোরো রোপণে কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। একসঙ্গে বোরো আবাদ শুরু করায় শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে শ্রমিকের মজুরি অনেকটাই বেশি। তবে লাভবান হওয়ায় বোরো আবাদে অধিকাংশ কৃষক আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মতিউজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় দুই লাখ ৬০ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জানুয়ারির শুরুতে থেকে বোরো চারা রোপণ শুরু হয়েছে। গত সোমবার পর্যন্ত জেলায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে। বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

সরকার বোরো আবাদের জন্য জেলায় ২৫ হাজার কৃষককে সার ও বীজ এবং ৫২ হাজার কৃষককে বীজ দিয়ে সহায়তা দিয়েছে বলে জানান তিনি।