নেত্রকোনায় পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ

ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে বসতরঘর, ভেসে গেছে তিন সহস্রাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ। 

কলমাকান্দা উপজেলার পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। এই উপজেলার আটটি ইউনিয়নের তিন শতাধিক গ্রামের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় দুই লাখ মানুষ।

জেলা প্রশাসন সূত্র ও স্থানীয়রা জানায়, কলমাকান্দা উপজেলা সদরসহ বড়খাপন, পোগলা, খারনৈ, লেঙ্গুরা, নাজিরপুর ও রংছাতি ইউনিয়নের পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি খারাপ। এছাড়া দুর্গাপুর উপজেলাসহ কুল্লাগড়া, গাওকান্দিয়া ইউনিয়নে বাড়িঘর, দোকান-পাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতর বন্যার পানিতে প্লাবিত। দুই উপজেলার সঙ্গে প্রায় সবগুলো ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

ডুবে গেছে বসতরঘর, ভেসে গেছে তিন সহস্রাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ

নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার কংস, মোমেশ্বরী, ধনু, উব্দাখালিসহ ছোট-বড় সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে।

জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বন্যাকবলিত প্রতিটি উপজেলায় ২০ মেট্রিক টন করে চাল ও নগদ দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনো খাবারসহ ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।