জামালপুরে ২৩ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত

কমতে শুরু করেছে জামালপুরে বন্যার পানি। এতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যমুনার পানি কমার ফলে দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ীর নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে পানি কমলেও দুর্ভোগ কাটেনি বন্যাদুর্গতদের। বন্যায় পাঁচ উপজেলার ২৩ হাজার ৪৬৭টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক আবদুল মান্নান।

তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে  ১৭ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বন্যায় এ পর্যন্ত পাঁচ উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার ১৬৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ৮৫ হাজার ৭৩২ জন পানিবন্দি হয়ে পড়েন। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।’

বন্যায় এ পর্যন্ত পাঁচ উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার ১৬৫ গ্রাম প্লাবিত

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘পানি নেমে যাওয়ায় বন্যাকবলিত লোকজন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছে। জেলার পাঁচ উপজেলা দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার ২৩ হাজার ৪৬৭টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যার পানির তোড়ে ১৩ হাজার ৫৬৬ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জেলায় ৪৬১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। এরমধ্যে ছয়টি চালু আছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে পাঁচ হাজার ১৭৫ জন আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মাঝে ত্রাণ ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।’

৮৫ হাজার ৭৩২ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘বন্যার পানিতে জেলায় আমন বীজতলা, আউশ ধান, পাট, সবজি, মরিচ, তিল, ভুট্টা ও কলার বাগান তলিয়ে গেছে। জেলায় এ পর্যন্ত ছয় হাজার ২৯৫ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে।’

জেলা সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস বলেন, ‘বন্যার পানি কমে যাওয়ায় এখন পানিবাহিত বিভিন্ন রোগবালাই দেখা দিতে পারে। সে জন্য আমরা বন্যাদুর্গতদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৮০টি মেডিক্যাল টিমকে প্রস্তুত রেখেছি। তারা আজকালের মধ্যে কাজ শুরু করবে।’