বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই মামিকে হত্যা, ভাগনের জবানবন্দি

কিশোরগঞ্জে মামিকে গলা কেটে হত্যার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভাগনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই মামিকে গলা কেটে হত্যা করেছে বলে জবানবন্দি দিয়েছে ভাগনে।

সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে কিশোরগঞ্জ আদালতে এ মামলার চার্জশিট দেন সদর মডেল থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম। রাত সাড়ে ৯টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন হোসেন।

অভিযুক্ত ভাগনে মো. মামুন (৩০) কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের চরশোলাকিয়া এলাকার সোহরাব উদ্দিনের ছেলে। পেশায় রঙমিস্ত্রি। নিহত মামি (৩০) একই শহরের বাসিন্দা ও তিন সন্তানের মা।

মামলার চার্জশিট ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালে মামার বিয়ের কয়েক মাস পরই মামির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে মামুনের। এরপর থেকে  পারিবারিক কলহ শুরু হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে মামুনকে বিয়ে করিয়ে দেয় পরিবার। মামুনের ঘরে জন্ম নেয় এক সন্তান। এরই মধ্যে মামির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যাওয়ায় মামুনকে ছেড়ে চলে যায় তার স্ত্রী।

গত শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে বাসায় রান্না করছিলেন মামি। এ সময় মামুন ঘরে ঢুকে মামির সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে মামিকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে আঘাত করে। পরে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।

এ ঘটনায় রবিবার (২৪ জুলাই) কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদুল আমিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় মামুন।

জবানবন্দিতে মামুন জানায়, মামির সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক শেষ করতেই হত্যা করেছে। দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ বলেন, ঘটনার দিন রাতেই নিহতের স্বামী বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। মামলা হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। মামুন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার তথ্য-উপাত্ত ও সাক্ষী পাওয়ায় আদালতে দ্রুত চার্জশিট দেওয়া সম্ভব হয়েছে।