নারী এনজিও কর্মী উদ্ধার, চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জামালপুর থেকে অপহরণের ছয় দিন পর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) এক নারী কর্মীকে অচেতন অবস্থায় নেত্রকোনার পূর্বধলা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম আলীসহ পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর স্বজনরা।  

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত শুক্রবার সকালে এক মাঠকর্মীর সঙ্গে দেখা করতে বের হন ওই নারী কর্মী। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। ঘটনার ছয় দিন পর বুধবার (১০ আগস্ট) রাতে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওই এনজিও কর্মীর মা বলেন, বিয়ের কথা বলে শরিফপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলম আলীর চাচাতো ভাই মামুন আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। পরে তাকে আর বিয়ে করতে চায়নি মামুন। গত ৩ মাস আগে সালিশ-বৈঠকে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর মামুন আমার মেয়ের ওপর নির্যাতন শুরু করে। মামুন ও তার চাচাতো ভাই চেয়ারম্যান আলম আলী তাকে অপহরণ করে হত্যার জন্য নির্যাতন করে। পরে মৃত ভেবে নেত্রকোনার পূর্বধলার নির্জনস্থানে নিয়ে ফেলে আসে। 

তিনি অপহরণ ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক (মানবসম্পদ বিভাগ) জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিশ্ব মাতৃদগ্ধ দিবসের প্রোগ্রামেও ওই নারী কর্মী উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাকে অপহরণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

জামালপুর সদর থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ ইমন বলেন, অপহরণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা নূরুন্নাহার বাদী হয়ে শরিফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।