যমুনা সার কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে আবারও বিক্ষোভ

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দেশের সর্ববৃহৎ ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানার ৪৮৬ শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। শ্রমিক
ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে ও তাদের পুনরায় পুনর্বহালের দাবিতে আবারও বিক্ষোভ করেছেন ছাঁটাইকৃত শ্রমিকরা।

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার তারাকান্দিতে কারখানা এলাকায় বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শ্রমিকরা কারখানার প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন। 

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামস উদ্দিন প্রমুখ। 

এ সময় বক্তারা বলেন, ১৯৯১ সালে কারখানা প্রতিষ্ঠার পর থেকে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে ৪৮৬ জন শ্রমিক কাজ করে আসছিলেন। হঠাৎ বিনা নোটিশে ৪৮৬  শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে তাদেরকে কারখানায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় কর্তৃপক্ষ। কাজ হারিয়ে শ্রমিক ও তাদের পরিবার এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অবিলম্বে শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহালের দাবি জানান বক্তারা।

এর আগে গত শনিবার ও বৃহস্পতিবার একই দাবিতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে যমুনা সার কারখানায় দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে আসছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। দরপত্র আহ্বান করে নির্বাচিত ঠিকাদারের মাধ্যমে দুই বছরের জন্য এসব শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে কারখানার জিএম (প্রশাসন) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, চুক্তিভিত্তিক ৪৮৬ শ্রমিকের মধ্যে ১৯৩ জনের নিয়োগ বিধি মোতাবেক আগেই বাতিল হয়েছে। বাকি ২৯৩ জনের মেয়াদকাল গত ৩১ আগস্ট শেষ হয়। নতুন নিয়োগের জন্য ঠিকাদার নিযুক্ত করতে গত ১৮ জুলাই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু দায়িত্বরত ঠিকাদার মেসার্স জান্নাত এন্টারপ্রাইজ মামলা করায় নতুন শ্রমিক নিয়োগ আদালতের নিষেধাজ্ঞায় স্থগিত আছে।