ময়মনসিংহ ক্রীড়া সংস্থা ও ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ বর্জন 

ময়মনসিংহে সাফজয়ী কলসিন্দুরের ৮ নারী ফুটবলারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হেনস্তা ও গাড়িতে হামলার প্রতিবাদে এক যৌথসভায় ক্রীড়া সংস্থা ও ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সব ধরনের সংবাদ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিকরা। রবিবার (২ অক্টোবর) রাত ৯টায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আতাউল করিম খোকনের সভাপতিত্বে আয়োজিত যৌথসভায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়। 

সভায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন, ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মীর গোলাম মোস্তফা, ময়মনসিংহ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন, ময়মনসিংহ টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অমিত রায়, ময়মনসিংহ টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি কাজী মোস্তফা মুন্না, নিউজ চ্যানেল জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এনসিজেএ’র সভাপতি হারুন অর রশিদ, ময়মনসিংহ সাংবাদিক বহুমুখী সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ, মাই টিভির সাইফুল ইসলাম, সময় টেলিভিশনের সাদিকুর রহমান, যমুনা টেলিভিশনের হোসাইন শাহিদ, একুশে টেলিভিশনের আতাউর রহমান জুয়েল, ডিবিসি টেলিভিশনের রাকিবুল হাসান রুবেল, কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক নিয়ামুল কবির সজল, ডেইলি স্টারের আমিনুল ইসলাম, প্রথম আলোর কামরান পারভেজ, সময়ের আলোর জাহাঙ্গীর কবির জুয়েলসহ প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা। 

সাংবাদিক নেতারা হামলার ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, গত বৃহস্পতিবার ২৯ সেপ্টেম্বর সাফজয়ী কলসিন্দুরের আট নারী ফুটবলারকে সংবর্ধনা দেওয়ার নিউজ কাভারের সময় এখন টেলিভিশন, সময় টেলিভিশন এবং যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাধা দান ও তাদের হেনস্তা করা হয়েছে। ওই সময় এখন টেলিভিশনের গাড়িতেও হামলা হয়। ময়মনসিংহ ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল আলম ও ময়মনসিংহ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম দেলোয়ার হোসেন মুকুলের নেতৃত্বে তাদের কর্মীরা সাংবাদিকদের সঙ্গে এমন আচরণ করেন। এই ঘটনায় ক্রীড়া সংস্থা ও ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা না চাইলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন তারা।