বাকৃবিতে বিনা’র বিজ্ঞানীকে মারধরের অভিযোগ

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বিজ্ঞানী সামছ আল মাহমুদকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার বিচার দাবিতে ও প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সকাল ১১টায় প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিনার বিজ্ঞানীরা।

ভুক্তভোগী ওই বিজ্ঞানীর অভিযোগ, বুধবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বরের মোড়ে তাকে মারধর করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা স্ত্রী শায়লা শাম্মী এবং শ্যালক নিয়াজুর রহমান শিবলীকেও মারধর করে আহত করা হয়েছে।

শামস আল মাহমুদ ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, বুধবার (২২ মার্চ) রাত ১০টার দিকে ফসিলের মোড় ভাড়া বাসা থেকে স্ত্রী ও শ্যালককে নিয়ে বাকৃবির জব্বারের মোড়ের হোটেলে খাওয়ার জন্য যান। রিকশা থেকে নামার পর তৃপ্তি হোটেলে ঢোকার সময় প্রাইভেট কার থেকে নেমে প্রান্ত নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী এসে আমাদের জিজ্ঞাসা করে, এতো রাতে এখানে কী করিস? এ সময় আমি আমার পরিচয় এবং আমরা খাওয়ার জন্য এসেছি বলে তাদের জানাই। কিন্তু প্রান্ত জবাবে আমাদের বলে, বিনায় চাকরি করিস আর আমাকে চিনিস না—এভাবে তুই-তোকারিও করতে থাকে। এই নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আরও কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী এসে যোগ দেয় এবং আমাকে থাপ্পর মারে। আমার স্ত্রী এবং শ্যালক বাধা দিলে তাদের ওপরও হামলা করে। পরিস্থিতি খারাপ দেখে আমরা ওই জায়গা থেকে বাসায় চলে আসি। এরপর আমরা তিন জনই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি। 

এ ঘটনার প্রতিবাদে বিনার বিজ্ঞানীরা বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে জানান তিনি।

তবে এ বিষয়ে ভিন্ন কথা বলেছেন বাকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মহির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টার পর বাকৃবি ক্যাম্পাসে মেয়ে মানুষ নিয়ে ঘোরাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমরা প্রক্টোরিয়াল বডির কয়েকজন দুইটা গাড়ি নিয়ে ক্যাম্পাসে টহল দেওয়ার সময় দেখি যে, জব্বারের মোড়ে দুই যুবক একটি মেয়েকে নিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে তাদের জিজ্ঞাসা করা হয়, এত রাতে আপনারা কী করছেন, এসময় তারা সঠিক উত্তর না দিয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন।’

তিনি দাবি করেন, এ সময় আশপাশ থেকে বাকৃবির কয়েকজন ছাত্র ঘটনাস্থলে আসলে তাদের সঙ্গে ওই ব্যক্তির ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, ‘এরা কেউ ছাত্রলীগ কর্মী কিনা এটা আমার জানা নাই। পরে জানতে পারি ওই ভদ্রলোক বিনার একজন কর্মরত বিজ্ঞানী।’ তাদের মারধরও করা হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।