মুক্তিকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে কাউছার, আসামির পক্ষে দাঁড়াননি আইনজীবী

নেত্রকোনার বারহাট্টায় দশম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তি রানী বর্মণকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার একমাত্র আসামি কাউছার (১৮) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকালে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। তবে আদালতে আসামির পক্ষে কোনও আইনজীবী জামিন আবেদন করেননি।

নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ও জেলা পুলিশের মুখপাত্র লুৎফুর রহমান জানান, নিহতের বাবা নিখিল বর্মণ বাদী হয়ে বুধবার রাতে প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে কাউছারকে একমাত্র আসামি করে বারহাট্টা থানায় মামলাটি করেন। বুধবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের পাকা ধান ক্ষেতের পার্শ্ববর্তী জঙ্গল থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বারহাট্টা থানার এসআই আবু ছায়েম জানান, কাউছারকে আজ বিকালে আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নেত্রকোনা জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী শহিদুল্লাহ জানান, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ স্বরূপ আজ আদালতে কোনও আইনজীবী এই আসামির জামিনের পক্ষে আদালতে ওকালতনামা পেশ করেননি। পরে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অবশ্যই কাউছারের পক্ষে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২ মে) নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামে স্কুল থেকে ফেরার পথে প্রকাশ্যে মুক্তি রানী বর্মণকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিন মুক্তির সহপাঠীরা জানায়, দুপুর ২টার দিকে সহপাঠীদের সঙ্গে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল মুক্তি। পথিমধ্যে কাউছার এসে দা দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এ সময় সহপাঠীরা ভয়ে চিৎকার শুরু করে। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে আহত অবস্থায় মুক্তিকে উদ্ধার করে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে নেত্রকোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিকালে সেখানে মৃত্যু হয়।