শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে রাগ করে নয়, মোটরবাইক কবর দেওয়া যুবক বিয়েই করেননি

শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে রাগ করে নয়, বরং টিকটক ভিডিও বানিয়ে ভাইরাল হতে মোটরবাইক কবর দিয়েছেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের যুবক আতিকুল ইসলাম (১৮)। রবিবার (১৮ জুন) বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে আতিকুল জানিয়েছেন তিনি অবিবাহিত। ‘শ্বশুরবাড়ি থেকে’ নিজের পছন্দমতো মোটরবাইক না পেয়ে বাইক কবর দেওয়ার সমালোচনার মধ্যে বিষয়টি পরিষ্কার করে জানালেন এই যুবক।

এর আগে গত ১৩ জুন নিজের টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে মোটরবাইক কবর দেওয়ার ভিডিও আপলোড করেছিলেন তিনি। সেই ভিডিও ভাইরাল না হওয়ায় দ্বিতীয়বার ১৪ জুন একই এলাকার ইলিয়াস মিয়ার মেজোভাই নামের টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিও আপলোড করেন। পরে সেটি ভাইরাল হয়। 

এরই মধ্যে ফেসবুকে ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের পছন্দমতো মোটরবাইক না নেওয়ায় বাইক কবর দিয়েছেন এক যুবক এমন ক্যাপশন দিয়ে অনেকে ভিডিও শেয়ার করেছেন। এ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। 

টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে মোটরবাইক কবর দেওয়ার ভিডিও আপলোড করেন এক যুবক

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিকটকার আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবারে বাবা না থাকায় দুই বছর আগে এসএসসি পাসের পর মোটরবাইক ভাড়ায় চালানো শুরু করি। মোটরবাইক ভাড়ায় চালিয়ে আয়-রোজকার কম হচ্ছিল। পাঁচ মাস আগে সিদ্ধান্ত নিই, নিজেই ফানি ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে ফেসবুক থেকে আয় করবো। এমন চিন্তা থেকে আতিকুল নামে ফেসবুক পেজ খুলেছি। সেইসঙ্গে টিকটক অ্যাকাউন্ট খুলে ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতে থাকি। কিন্তু কোনও ভিডিও ভাইরাল হচ্ছিল না। এ অবস্থায় বাড়ির উঠানে কবর খুঁড়ে নিজের ভাড়ায় চালিত বাইকটি এর মধ্যে রেখে ভিডিও তৈরি করি। পরে সেটি নিজের টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড করলেও ভাইরাল হয়নি।’

টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে মোটরবাইক কবর দেওয়ার ভিডিও আপলোড করেন এক যুবক

নিজের ফেসবুক ও টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটি ভাইরাল না হওয়ায় একই এলাকার ইলিয়াস মিয়ার সহযোগিতা নিই উল্লেখ করে আতিকুল বলেন, ‘ইলিয়াস ভাইয়ের সহযোগিতায় তার ফেসবুক ও টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিওটি পোস্ট করার পর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। তবে ইলিয়াস ভাই ভিডিও পোস্ট করার সময় উল্লেখ করেছেন, শ্বশুরবাড়ি থেকে ডিসকভারি মোটরবাইক দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দিয়েছে মেট্রো প্লাস মোটরবাইক। ফলে শ্বশুরবাড়ির ওপরে রাগে ক্ষোভে মোটরবাইক কবর দিয়েছেন মেয়ের জামাই। এরপরই ভিডিও নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তবে আসলে আমি এখন পর্যন্ত বিয়ে করিনি।’

মিথ্যা ক্যাপশন দিয়ে ভিডিও পোস্ট করা ঠিক হলো কিনা জানতে চাইলে ইলিয়াস মিয়া বলেন, ‘আতিকুলকে সহযোগিতা করার জন্যই তার বানানো ভিডিও আমার ফেসবুক পেজ ও টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড করেছি। ভিডিওটি মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেকে ভিডিও ভাইরাল করতে এমন ক্যাপশন উল্লেখ করে। আমরাও করেছি। এখানে দোষের কিছু দেখছি না।’