ঈদের আগে ভাঙন আতঙ্কে যমুনা পাড়ের মানুষ

জামালপুরের ইসলামপুরে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। ভাঙন আতঙ্কে যমুনা পাড়ের মানুষ। 

যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে নদীর তীরর্বতী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের কাজলা, কাঠমা, ব্রহ্মউত্তর ও তারতাপাড়া গ্রামের দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ও কয়েক শত বিঘা ফসিল জমি যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি অসংখ্য স্থাপনা, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-মাদ্রাসা ও শত শত হেক্টর ফসিল জমি।

কাঠমা গ্রামের আবদুল কদ্দুছ বলেন, ‘নদীর পানি কমা ধরলে (কাছাড়) পাড় জেগে উঠে। ওই সময় নদী ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করে।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর পাড়ের মানুষ তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সময়ও পাচ্ছে না। মুহূর্তে ঘরবাড়ি বিলীন হচ্ছে যমুনায়।

নোয়ারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রোমান হাসান বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের মানুষ খেটে খাওয়া। তারা খেটে খেতে পছন্দ করেন। তারা ত্রাণ বা অন্য কোনও সাহায্য চান না। তারা চান নদীভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। যেন তারা নিজ বাড়িতে বাস করে নিজের জমি চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন।’

কুলকান্দী ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বলেন, ‘ইউনিয়নের জিগেতলা গ্রামে যমুনার তীব্র ভাঙন চলছে। হুমকির মুখে পড়েছে আশ্রয়ন প্রকল্প ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’

এ ছাড়া দশআনী নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বকশিগঞ্জ উপজেলা নিলক্ষিয়া ইউনিয়নে কুশলনগর গ্রামে ঘরবাড়ি ও ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের আগুনের চর গ্রাম।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, নদী ভাঙন কবলিত পরিবারের জন্য সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।

ইসলামপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হাসান রুমান বলেন, ‘বিষয়গুলো জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। বন্যা ও নদী ভাঙন মোকাবিলায় সরকারের সব রকমের প্রস্তুতি রয়েছে।’