সাংবাদিক নাদিম হত্যা: আরও এক আ.লীগ নেতা গ্রেফতার

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আন্দোলন সরকার (৫৫) নামে আরও এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রধান আসামিসহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

বুধবার (৫ জুলাই) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ। এর আগে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) রাতে অভিযান চালিয়ে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের মধ্য ধাতুয়াকান্দা নিজ বাড়ি থেকে আন্দোলন সরকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আন্দোলন সরকার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং উত্তর ধাতুয়াকান্দা গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে। 

পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সাংবাদিক নাদিম হত্যায় জড়িত থাকা নয়ন মিয়াকে সোমবার রাতে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আন্দোলন সরকারের নাম পুলিশকে জানান। গত ১৪ জুন রাতে বকশীগঞ্জ পৌর শহরের পাট হাটি মোড়ে সাংবাদিক নাদিমের ওপর হামলার সময় সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন আন্দোলন সরকার। নয়ন মিয়ার কাছ থেকে এমন তথ্য পেয়ে আন্দোলন সরকারকে গ্রেফতার করা হয়। তবে আন্দোলন সরকার নাদিম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন না। এ নিয়ে সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হলো।’ 

বকশীগঞ্জ থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, ‘বুধবার দুপুরে মামলার তদন্ত সংস্থা ডিবির হাতে আন্দোলন সরকারকে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।’

সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে গত ১৪ জুন হামলার শিকার হন সাংবাদিক নাদিম। প্রথমে তাকে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে ও পরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ জুন সকালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নাদিম। এ ঘটনায় নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এই হত্যা মামলায় বাবু চেয়ারম্যানসহ ১৪ আসামি কারাগারে রয়েছেন। ১৪ জনের মধ্যে প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবু, মনিরুজ্জামান মনির ও রেজাউল হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।