ময়মনসিংহে সরে দাঁড়ালেন এমপি নাজিমসহ ১৯ জন, টিকে থাকলেন ৬৭ প্রার্থী

ময়মনসিংহের ১১টি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ, জাসদ ও জাকের পার্টিসহ ১৯ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এর ফলে নির্বাচনের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৬৭ প্রার্থী।

রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করেন তারা। এ তথ্য নিশ্চিত করে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ময়মনসিংহের ১১ আসনে ১৯ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ফলে ৬৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।’

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন রবিবার ১৯ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এর মধ্যে জাকের পার্টির সাত, জাসদের ছয়, তরিকত ফেডারেশনের এক এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী। পাশাপাশি মহাজোটের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির কারণে ময়মনসিংহ-৫ ও ময়মনসিংহ-৮ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

প্রার্থিতা প্রত‍্যাহার করে নেওয়া ব্যক্তিরা হলেন ময়মনসিংহ-২ আসনে জাসদের এস.এম শিব্বির আহমেদ লিটন, জাকের পার্টির সঞ্জিত সাহা, ময়মনসিংহ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ডা. মতিউর রহমান ও তরিকত ফেডারেশনের বিশ্বজিৎ ভাদুড়ী, জাকের পার্টির মো. নজরুল ইসলাম, ময়নসসিংহ-৪ আসনে জাসদের অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু, জাকের পার্টির কামাল উদ্দিন, ময়মনসিংহ-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল হাই আকন্দ, জাসদের শামছুল আলম খান, ময়মনসিংহ-৬ আসনে জাসদের সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু, জাকের পার্টির এসএম দেলোয়ার হোসেন, ময়মনসিংহ-৭-এ জাসদের রতন কুমার সরকার, জাকের পার্টির মো. জুয়েল রানা, স্বতন্ত্র আমিনুল হক, ময়মনসিংহ-৮-এ আওয়ামী লীগের মো. আবদুছ ছাত্তার, ময়মনসিংহ-৯ আসনে জাকের পার্টির মো. শফিকুল আলম, ময়মনসিংহ-১০-এ জাকের পার্টির মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন খান, ময়মনসিংহ-১১ আসনে জাসদের মো. সাদিক হোসেন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১১টি সংসদীয় আসনে ১০৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও বাছাইয়ে ২৪ জনের বাতিল হয়। প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে পাঁচ জনের মনোনয়নপত্র বৈধতা পায়। তবে ময়মনসিংহ-৯ আসনের বৈধ প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালামের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী আপিল করলে প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। ফলে ৮৬ জন শেষ পর্যন্ত তালিকায় ছিল। আজ ১৯ জন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ৬৭ প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে টিকে রয়েছেন।