জামিনে মুক্তি পেলেন ‘তথ্য চাইতে গিয়ে’ কারাদণ্ড পাওয়া সাংবাদিক

জামিনে মুক্তি পেয়েছেন শেরপুরের নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দফতরে তথ্য চাইতে গিয়ে অসদাচরণের অভিযোগে ছয় মাসের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকালে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জেবুননাহারের আদালত শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই সাংবাদিক কারাগার থেকে মুক্তি পান।

শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম সন্ধ্যায় সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানার মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি দেশ রূপান্তর পত্রিকার নকলা উপজেলা সংবাদদাতা হিসেবে কর্মরত। গত ৫ মার্চ দুপুরে ইউএনও কার্যালয়ে কিছু তথ্য চাইতে গেলে, তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শিহাবুল আরিফের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও অসদাচরণের অভিযোগ আনে উপজেলা প্রশাসন। ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন নিজে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার অনুমোদন দেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তথ্য চাইতে যাওয়া কাউকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা। এই ঘটনায় ওই ইউএনওকে বদলি করা হতে পারে বলে সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে মুক্তির পর সাংবাদিকে শফিউজ্জামান রানা বলেন, ‘মোবাইল কোর্টে সাজা দেওয়ার আগে আমাকে সরি বলার জন্য বলেছিল। আমি বলেছি, আমি কোনও অপরাধ করিনি, আমি এখানে তথ্য অধিকার ফরমে আবেদন নিয়ে আসছি। আমি সরি বলতে পারবো না। এরপর ওসিকে ফোন দেয়। আমি ও আমার বড় ছেলে সিসি ক্যামেরার নিচে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিছুক্ষণ পর ওসি সিভিল কাপড়ে এসে আমাকে নিয়ে যায়। আমি কোনও অন্যায় করিনি, ভুল স্বীকারও করিনি। নিজ জায়গায় অবিচল আছি।’