ভালোবাসা দিবসে ‘ধর্ষণের শিকার’ মেয়ে, লজ্জায় আত্মহত্যার চেষ্টা মায়ের

পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) শেরপুরের সীমান্তবর্তী উপজেলা ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত গজনী অবকাশ কেন্দ্রে। এ ঘটনায় লজ্জায় বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ওই ছাত্রীর মা।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে মুমূর্ষু অবস্থায় তার মাকে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঝিনাইগাতী থানায় ইলিয়াস (৩৫) ও তার তিন সহযোগী মতিন (২৮), সাইদ (৩০) ও রাশেদকে (২৮) আসামি করে মামলা করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ওই ছাত্রী শেরপুরের গজনী অবকাশ পাহাড়ে ভালোবাসা দিবসে বান্ধবীদের সঙ্গে ঘুরতে যায়। সে সময় কালিনগর এলাকার এক বখাটে যুবক  ইলিয়াস (৩৫) তার তিন সহযোগীকে নিয়ে মেয়েটিকে জোর করে ধর্ষণ করে। পরে ওই যুবকের প্রভাবশালী পরিবার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগীর পরিবারের ওপর মামলা না করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।

ঘটনাটি জানাজানি হলে ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মেয়েটির মা লজ্জায় বাড়ির পাশে পাহাড়ের জঙ্গলে গিয়ে বিষপান করে। পরে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইগাতী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

ঝিনাইগাতী সদর থানার ওসি আল-আমীন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ভুক্তভোগীকে নিরাপদ হেফাজতে এনেছি এবং তার মায়ের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। অন্যদিকে এ ঘটনায় জড়িত চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।