আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধে নিহত এক , দোকান-বাড়িতে আগুন

বগুড়ায় সংঘর্ষ, নিহত এক

বগুড়ায় আধিপত্য বিস্তার ও পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতে একজন নিহত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে শহরতলির বানদীঘির চাতাল মোড়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে।নিহতের নাম ওয়াহেদ আলী (৫৫)। তিনি মুদি ব্যবসায়ী ছিলেন। এসময় নিহতের ভাই সামাদ আলীসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার গভীর রাতে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ওয়াহেদ আলী মারা যান।

শনিবার সকালে তার মৃত্যুর খবর প্রচার হলে নিহতের স্বজনরা ও বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী সংঘবদ্ধ হয়ে ঘাতকদের ৬টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ পাশেই বানদীঘি মধ্যপাড়ার ১০টি বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিভাতে সক্ষম হয়।

আরও পড়তে পারেন: রাজধানীতে ৩ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ২



সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আসলাম আলী জানান, স্থানীয় এরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিমাংসার জন্য শনিবার রাতে দু’পক্ষকে নোটিশ করেছিলেন। কিন্তু এর আগেই প্রতিপক্ষের হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত ওয়াহেদের ভাই বাবলু শাহর স্ত্রী মর্জিনা বেগম শুক্রবার রাতে ওই গ্রামের মিলনসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। দুপুরে এ খবর পাঠানো পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এরুলিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য আবদুর রহিম জানান, বানদীঘি পূর্বপাড়ার মিলন এবং হিরু মণ্ডল ফার্নিচারের ব্যবসা করেন। রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তাদের কাছ থেকে বাকিতে ফার্নিচার নেন। মিলন তার পাওনা আদায় করলেও হিরু ৩০ হাজার টাকা পান। এদিকে মিলন দেনাদার রফিকুলের পক্ষ নেন এবং হিরুকে তার পাওনা থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করেন। এ নিয়ে হিরু ও মিলনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এছাড়া চলাচলের একটি রাস্তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। শুক্রবার সকালে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এ সময় সামাদ ও ওয়াহেদ দুই ভাইয়ের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে মিলনের পক্ষের লোকজন।  

এরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শ্রমিক নেতা আবদুল লতিফ মণ্ডল শনিবার রাতে দু’পক্ষ নিয়ে সমঝোতায় বসার সিদ্ধান্ত নেন। দু’পক্ষের কাছে মুচলেকাও নেওয়া হয়। এরপরও শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিলন পক্ষের লোকজন বানদীঘি চাতালের মোড়ে বসে থাকা হিরু পক্ষের ওয়াহেদ ও সামাদসহ অন্যদের উপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতে দুই ভাই ওয়াহেদ ও সামাদসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন।

/জেবি/