নিত্যরঞ্জনের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলা সদরের আরুয়া কংশু এলাকায়। তিনি প্রায় ৪০ বছর ধরে হেমায়েতপুরের শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুল চন্দ্র সৎসঙ্গ আশ্রমে সেবক হিসেবে কাজ করছেন।
এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে দুর্বৃত্তদের হাতে চারজন নিহত হলেন। ৫ জুন চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও গুলি করে ঢাকার পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে (৩৫) হত্যা করে। একই দিন নাটোরে দুর্বৃত্তরা খ্রিস্টান দোকানি সুনীল গোমেজকে (৬৫) হত্যা করে। এর দুদিন পর ৭ জুন ঝিনাইদহে পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীকে (৬৫) কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার রেশ না কাটতে আজ নতুন করে খুন হলেন সেবাশ্রমের সেবক।
তিনি জানান, নিত্যরঞ্জন পান্ডে প্রতিদিন ভোরে হাঁটতেন। অন্যান্য দিনের মতো আজ ভোরেও হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। তিনি হাঁটতে হাঁটতে পাবনা মানসিক হাসপাতালের উত্তরপাশের প্রধান গেটের কাছে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পেছন থেকে তার ঘাড়ে ও মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
তবে কারা, কী কারণে নিত্যরঞ্জনকে হত্যা করেছে তা নিশ্চিত করতে পারেননি পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি জানান, হত্যার কারণ ও হত্যাকারী সম্পর্কে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর কবিরসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন:
শ্যামল কান্তি ভক্তের ঘরে ফেরা
/বিটি/এসটি/