বগুড়ায় এক প্রকল্পে দুই জায়গা থেকে টাকা ‘খাওয়ার’ অভিযোগ

বগুড়াবগুড়ার শাজাহানপুরে একই প্রকল্পের বিপরীতে জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্ত আসাফুদ্দৌলা সরকার শামিম (প্রকল্প সভাপতি) কাজ শেষ না করেই দুই জায়গা থেকে টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন। আর এ ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আলতাব আলী সম্পৃক্ত বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। শাজাহানপুরের আমরুল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম নয়ন বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল ইসলাম একই প্রকল্পে দুই জায়গা থেকে অর্থ নেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে (পিআইও) তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

শাজাহানপুরের আমরুল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম নয়ন অভিযোগ করেন, গোবিন্দপুর গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে আসাফুদ্দৌলা সরকার শামিম একজন প্রতারক। তিনি বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আলতাব আলীর সঙ্গে গোপন আঁতাত করে প্রতি অর্থবছরে একই স্থানে বারবার বেনামে প্রকল্প দেখান। তিনি এমপির বিশেষ বরাদ্দ থেকে টাকা তুললেও কাজ করেননি। এভাবে তিনি লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন। অভিযোগপত্রে বিভিন্ন অর্থবছরে অর্থ আত্মসাতের বিভিন্ন হিসাবও তুলে ধরেন তিনি।

আসাফুদ্দৌলা সরকার শামিম নিজেকে আমরুল ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে থাকেন। অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমার কাজে কোনও অনিয়ম নেই। ভবিষ্যতে ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হবো; তাই প্রতিপক্ষের লোকজন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল ইসলাম, প্রকল্প সভাপতি (শামিম) প্রায় ১৭টি প্রকল্পে জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ নিয়েছেন। দ্বিগুণ বরাদ্দ নেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করতে উপজেলা পিআইওকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পেলে প্রকল্প সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আলতাব আলী দাবি করেন, তিনি শামিম নামে কাউকে চেনেন না। তিনি বলেন, ‘এমপির নামে কোনও বরাদ্দ নেই। পিআইওকে তদন্ত সাপেক্ষে কাজ দিতে বলা হয়েছে। এখানে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই।’

/এআরএল/

আরও পড়ুন: 

চীনের প্রেসিডেন্টের কাছে বিএনপির দুই প্রত্যাশা