গৃহকর্মীর কর্মঘণ্টাও ৮ ঘণ্টা: মুজিবুল হক চুন্নু

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুশ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘কোনও গৃহকর্মীর মানবাধিকার লঙ্ঘন হতে দেওয়া হবে না। একজন সরকারি কর্মকর্তার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা হলে একজন শ্রমিক ও গৃহকর্মীর কর্মঘণ্টাও ৮ ঘন্টা। এর বেশি কাজ করালে তাদের অতিরিক্ত মজুরি দিতে হবে।’

রবিবার দুপুরে রাজশাহীর একটি আবাসিক হোটেলের সম্মেলন কক্ষে ‘বিভাগীয় শিশু কল্যাণ পরিষদের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মানবাধিকারকর্মীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মানবাধিকারের কথা বলার আগে আপনারা নিজের বাসার গৃহকর্মীর খোঁজ নেন। তাদেরও মানবাধিকার আছে। সে মানবাধিকার যেন কোনোভাবেই লঙ্ঘিত না হয়।’ তিনি বলেন, ‘কোনও কোনও মানবাধিকারকর্মীর বাসাতেই গৃহকর্মীর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। তবে সব মানবাধিকারকর্মীর বাসাতে এমন ঘটে না।’

মুজিবুল হক বলেন, ‘গৃহকর্মীদের নিরাপত্তা দিতে গত বছর একটি নীতিমালা প্রণয়ন হয়েছে। শিগগিরই এটিকে আইনে রুপান্তর করা হবে।

বর্তমান সরকার শ্রমিকদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় মন্ত্রণালয়ের শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে অর্থ ছিল ৪৫ লাখ। শনিবার পর্যন্ত এ তহবিলে টাকা এসেছে ১৮৪ কোটি টাকা। ৭৯টি কোম্পানি তাদের মুনাফার অংশ থেকে এ টাকা জমা দিয়েছে। আর এ টাকা শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করা হচ্ছে।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন,‘লাভের একটা অংশ সরকারি কল্যাণ তহবিলে জমা দেওয়ার আইন আছে। অনেকেই এ আইন লঙ্ঘন করেন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর টাকা জমা দেওয়ার জন্য কোম্পানিগুলোকে চিঠি দিতে শুরু করি। তাই টাকার অংক বেড়েছে। তহবিলে টাকা না দিলে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব খন্দকার মোস্তান হোসাইন, কলকারখানা অধিদফতরের মহাপরিদর্শক সৈয়দ আহমদ, শিশু অধিকার ফোরামের সভাপতি এমরানুল হক চৌধুরী ও রাজশাহীর জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ।

/এমডিপি/এফএস/