উত্তরাঞ্চলে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্যবাহী পরিবহনে লোড-আনলোড বন্ধ

বগুড়াসড়ক ও মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধসহ সাতদফা দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্যবাহী পরিবহনে পণ্য লোড-আনলোড বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে কাঁচা শাকসবজিসহ বিভিন্ন মালামাল পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বুধবার ‘উত্তরবঙ্গ ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের’ আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটি এ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মান্নান আকন্দ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় পণ্যবাহী গাড়িতে পণ্য লোড-আনলোড বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সিরাজগঞ্জে আগে থেকে লোড করা দক্ষিণাঞ্চল ও রাজধানীগামী ৬০টি পণ্যবাহী ট্রাক ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মালামাল লোড-আনলোড বন্ধে সব জেলার সড়ক-মহাসড়কে লোকজন কাজ করছেন। তাদের দাবি বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।

দাবিগুলো হলো-ট্রাক, ট্যাংকলরি, কাভার্ডভ্যান ও পিকআপের কাগজ ও চালকের লাইসেন্স পরীক্ষার নামে সড়ক মহাসড়কে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, এসব গাড়ির বাম্পার, সাইড অ্যাঙ্গেল ও হুক অপসারণে সরকারি আদেশ প্রত্যাহার, ট্যাক্স টোকেন, ফিটনেস, রুট পারমিটের বকেয়া সুদ মওকুফ, বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ওয়ে স্কেলের নামে চাঁদাবাজি ও হয়রানি বন্ধ, সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধ, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধ এবং নতুন ড্রাইভিং ও হেভি লাইসেন্স সহজ শর্তে দেওয়া।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পণ্যবাহী গাড়িগুলোতে পণ্য পরিবহণ বন্ধ থাকায় বগুড়া, গাইবান্ধাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় কাঁচা শাক-সবজিসহ অন্যান্য মালামাল কোথাও নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। বগুড়ার মহাস্থান হাট থেকে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ ট্রাক সবজি দেশের বিভিন্ন স্থানে নেওয়া হয়। কিন্তু কোনও গাড়ি মাল না নেওয়ায় সেগুলো অন্য কোথাও নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অবিলম্বে এ অচলাবস্থা দূর না হলে পণ্য বিশেষ করে কাঁচামাল পচে নষ্ট হয়ে যাবে। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

/এআর/