উত্তরাঞ্চলে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত

ধর্মঘট স্থগিতের পর পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল শুরুবগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় অনির্দিষ্টকালের পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আলোচনা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে জনগণের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সড়ক ও মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধসহ সাত দফা দাবিতে ‘উত্তরবঙ্গ ট্রাক, ট্যাংকলরী, কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’ আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটি বুধবার (৩০ নভেম্বর) এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত পণ্যবাহী গাড়িতে পণ্য পরিবহণ বন্ধ ছিল।

‘উত্তরবঙ্গ ট্রাক, ট্যাংকলরী, কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’ আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মান্নান আকন্দ জানান, সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে উত্তরাঞ্চলে পণ্যবাহী গাড়িতে পণ্য পরিবহন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করা হয়েছিল। শুক্রবার বিকালে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারে কার্যালয়ে বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির সঙ্গে আলোচনা সফল হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুসারে দাবিগুলো বাস্তবায়ন না করলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। সভায় সংগঠনের ১৬ জেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বগুড়া জেলায় প্রায় ৮ হাজারসহ উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় প্রায় দুই লাখ ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান রয়েছে। উত্তরাঞ্চলে পরিবহন মালিকরা প্রতিদিন অন্তত চার কোটি টাকা আয় করে থাকেন। আর এ পেশার সঙ্গে চার লাখ শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। দু’দিন যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটান। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পণ্য পরিবহণ বন্ধ থাকায় বগুড়ার শাজাহানপুর, নয়মাইল, শেরপুর, মোকামতলা, ফাঁসিতলা, চন্দিহারা, মহাস্থান, বনানী, মাটিডালি মোড়, সাবগ্রাম, চারমাথাসহ বিভিন্ন স্থানে অন্তত তিন হাজার গাড়ি আটকা পড়ে। নেতাদের নিয়োজিত শ্রমিকরা সড়ক-মহাসড়কে পাহারা দেন। তবে মানবিক কারণে বৃহস্পতিবার রাত থেকে কাঁচামাল, মাছ, বেকারি সামগ্রী ও শিশু খাদ্যবাহী যানবাহনগুলো তাদের কর্মসূচির আওতামুক্ত রাখা হয়েছিল।

/বিটি/