রাজশাহীতে শিশু নির্যাতনের ঘটনায় আরও একজন গ্রেফতার

 

গ্রেফতারের প্রতীকী ছবিরাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় চুরির অপরাধে ট্রাকের সঙ্গে বেঁধে শিশু নির্যাতনের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার নাম জুলমত আলী। বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জুলমত আলী চারঘাট উপজেলার শিবপুর গ্রামের মৃত তমেজ আলীর ছেলে ও বিপি পরিবহনের সুপারভাইজার।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে জুলমত আলীর নিজ বাড়ি শিবপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে শিশু নাজমুল হক (১২) নির্যাতন মামলার ৫ নম্বর আসামি।

উল্লেখ্য, রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা সদরের খাঁন ফিলিং স্টেশনে বিপি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সিডি প্লেয়ার চুরির অপবাদে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে নাজমুল হককে (১২) একটি ট্রাকের সঙ্গে বেঁধে রাখে কর্মচারীরা। পরে সকাল ১০টার দিকে ওই পাম্পের কর্মচারীরা শিশু নাজমুলকে মারধর করে মাথার চুল কেটে মুখে কালি মাখিয়ে দেয়।

এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের প্রতিবাদের মুখে পাম্পের কর্মচারীরা তাকে ছেড়ে দেয়। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় নির্যাতিত শিশু নাজমুল হকের বাবা হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে। এরপর বিপি পরিবহনের চালক আক্কেল আলী ও খাঁন ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী নুরুল ইসলাম গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দুপুরে মোবাইল ফোনের সিম চুরির অভিযোগে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার তারাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আরিফুল ইসলামকে (১২) গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় তারাপুর গ্রামের আসফার আলীর ছেলে এরশাদ আলী ও বরুমোল্লার ছেলে শুভকে কারাগারে পাঠানো হয়।

/এআর/