রাউধার বাবার দায়ের করা হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসমাউল হোসেন বুধবার বিকালে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হত্যা মামলার একমাত্র আসামি রাউধার সহপাঠী ও ভারতের কাশ্মিরী মেয়ে সিরাত পারভীন মহামুদের পাসপোর্ট জব্দ করা হয়নি, বক্ল বা অকার্যকর করে দেওয়া হয়েছে।’ সিরাতকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, রাউধা আথিফের মৃত্যুর পর দুটি মামলা হয়েছে। একটি অপমৃত্যু (ইউডি) ও অপরটি হত্যা মামলা। বর্তমানে দুটি মামলাই তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত ১৩ এপ্রিল রাউধা হত্যা মামলা সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়। ১৫ এপ্রিল থেকে সিআইডি তদন্ত শুরু করে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ দুপুরে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাউধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই তার সহপাঠীরা ঝুলন্ত রাউধার মরদেহ নামিয়ে ফেলে। তখন পুলিশ জানিয়েছিল, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে কাপড় বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে রাউধা আত্মহত্যা করেন।
গত ৩০ মার্চ রাউধার লাশ দেখতে রাজশাহীতে আসেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত আয়েশাথ শান শাকির এবং তার মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা। ৩১ মার্চ মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের মাধ্যমে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। রাউধা ‘আত্মহত্যা’ করেছে উল্লেখ করে বোর্ড ১৫ এপ্রিল ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
এর আগে রাউধার মৃত্যুর ১২ দিন পর গত ১০ এপ্রিল তার সহপাঠী সিরাতকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন রাউধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আথিফ। রাজশাহীর আদালতে দায়ের করা ওই মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। সেই অনুযায়ী হত্যা মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। এরপর মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
মালদ্বীপের মেয়ে রাউধা আথিফ রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি পড়ালেখার পাশাপাশি মডেলিং করতেন।
/এফএস/
আরও পড়ুন- সিটিং সার্ভিস চলবে