স্থানীয়রা ট্যাংকি থেকে নিহত শ্রমিকদের লাশ উদ্ধার করেছেন। নিহতরা হলেন- গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তালুকবেলকা গ্রামের ফয়জার রহমানের ছেলে আংগুর হোসেন (২৫) ও একই গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে শ্রমিক শাহ আলম (২০)। অসুস্থ শ্রমিক লুৎফর রহমান (৩০) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
শিবগঞ্জ পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক জানান, গাইবান্ধার ১৫ জন শ্রমিক নাগর সেতু এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে বাবলু প্রামানিকের ৫ তলা ভবনের কাজ করছিলেন। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সেপটিক ট্যাংকির সাটার খোলা জন্য মিস্ত্রি আংগুর, শ্রমিক শাহ্ আলম ও লুৎফর রহমান ভিতরে নামেন। এতে তিনজনই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। টের পেয়ে বাড়ির মালিক ও অন্য শ্রমিকরা রশি দিয়ে তিনজনকে ট্যাংকি থেকে উদ্ধার করেন। এদের মধ্যে আংগুর ও শাহ্ আলমকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অন্য শ্রমিক লুৎফরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদ মাহমুদ খান জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ট্যাংকির মধ্যে বিষাক্ত গ্যাসে ওই দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টায় এ খবর পাঠানোর সময় লাশ দুটি শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, গত ১৯ এপ্রিল শেরপুরের সীমাবাড়ি বাজারে একটি নির্মাণাধীন বাসার সেপটিক ট্যাংকে কাজ করার সময় শেরপুর উপজেলার সোলায়মান হোসেন (৫৫) ও একই উপজেলার আনোয়ার হোসেন (৪৫) মারা যান।
/এমও/