সিরাজগঞ্জে শিলা বৃষ্টিতে ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি

কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের সোনাখাড়া ও ধামাইনগর ইউনিয়নে মঙ্গলবার রাতে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলার আঘাতে কমপক্ষে ১২টি গ্রামের প্রায় পাঁচশ হেক্টর জমির আধাপাকা ও পাকা উঠতি ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া  পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী ও কৃষি অফিস থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রনয়ন করা হলেও বুধবার বিকাল পর্যন্ত কাউকে কোনও সাহায্য, সহযোগিতা করা হয়নি।

সোনাখাড়া ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টির আঘাতে প্রায় ৫০টি বাড়ির টিনের চাল ফুটো হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই এখন অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক মণ্ডল জানান, এক সপ্তাহের মধ্যেই ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ শিলা বৃষ্টিতে কৃষকরা সর্বশান্ত। প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির ইরি ও বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। ৬০ ভাগ ফসল এখনও ভালো থাকলেও প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও আবহাওয়া অনুকূল না থাকার কারণে প্রান্তিক কৃষকদের কাছে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

Sirajganj Raiganj Rupa Khara Sila Bisty (2)রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল আকতার জানান, উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের সোনাখাড়া, রূপাখাড়া, শ্রীরামপুর, নিমগাছি, খৈচালা, কালিয়া, ধলজান, ভুইভট ও ধামাইনগর ইউনিয়নের বাকাই ও দেওভোগসহ আশেপাশের ১২টি গ্রামে মঙ্গলবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় বৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের বরাদ দিয়ে তিনি জানান, এ ধরনের শিলার আঘাত গত ৫০ বছরেও হয়নি। এলাকায় বেশ মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। আমি নিজেও সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি, উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অর্ধশত ঘরের চাল ঝাঁঝড়াও হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রনয়ন করা হচ্ছে। সাহায্যের জন্য কৃষি বা দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হবে। আপাতত কিছু করার নেই।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে জরুরি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা বুধবার বিকাল বলেন, রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিস থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রনয়ন করে পাঠানোর পর টিন, চাল ও ক্ষয়রাতি অর্থ বা চাল দেওয়া হবে। জেলা প্রশাসকের ভান্ডারে সাহায্য থাকলেও সংশ্লিষ্ট উপজেলা থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা এখনও আমরা হাতে পাইনি।

/বিএল/