গ্রেফতারকৃত বাকি তিন সদস্য হলো- নব্য জেএমবির আইটি স্পেশালিস্ট হাফিজুর রহমান হাফিজ, অস্ত্র সরবরাহকারী জুয়েল এবং রাজশাহী, চাঁপাই ও নাটোরের কো-অর্ডিনেটর জামাল।
তিনি আরও বলেন, ‘সোহেল মাহফুজ নব্য জেএমবির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। অনেকদিন ধরেই তাকে আমরা খুঁজছি। এর আগে একাধিক অভিযানে আইনের চোখে ফাঁকি দিয়ে সে বেরিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘সোহেল মাহফুজ যেহেতু গুলশান হামলার সঙ্গে জড়িত তাই তাকে ঢাকায় কাউন্টার টেরোরিজমের কাছে পাঠানো হয়েছে। আর বাকি তিনজন চাঁপাইয়ের একাধক মামলার আসামি, তাই তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।’
জানা যায়, গুলশান হামলার মামলার তদন্ত করতে গিয়ে অস্ত্র ও গ্রেনেড সরবরাহকারী হিসেবে এই সোহেল মাহফুজের নাম আসে। এমনকি এই মামলার অন্যতম আসামি জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী আদালতে দেওয়া তার জবানবন্দিতে জানিয়েছিল, শেওড়াপাড়ার আস্তানায় বসে গুলশান হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেডগুলো তৈরি করা হয়েছিল।
ঢাকা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের উপ-কমিশনার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, ‘সোহেল মাহফুজ গুলশান হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত এবং অস্ত্র ও গ্রেনেড সরবরাহকারী। তাকে ঢাকায় আনা হচ্ছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত তথ্য উদঘাটন করবো।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে নারকীয় জঙ্গি হামলায় দেশি-বিদেশি ২০ নাগরিক ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়।
/এনএল/এআর/