যমুনার পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

সদর উপজেলার ছনগাছা ইউনিয়নে পাউবোর বাঁধের পাশে পাড়পাচিল গ্রামে বন্যার তোড়ে ভেঙে গেছে রাস্তা উজানের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যমুনার পানিও সিরাজগঞ্জ জেলা পয়েন্টে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি ৪৬ সেন্টিমিটার  বেড়ে সোমবার (১৪ আগস্ট) সকাল ৯টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৬ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ার কারণে জেলার সদর, কাজিপুর, শাহজাদপুর, বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে বলে স্থানীয়ভাবে তথ্য পাওয়া গেছে।

এ জেলায় দ্বিতীয়বারের মতো যমুনার পানি বাড়লেও বন্যার ব্যাপকতা ওই পাঁচ উপজেলায় এখনও সেভাবে বাড়েনি বলে সোমবার সকালে দাবি করেছেন সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম। তার দাবি, ‘প্রথম বারের বন্যায় যাদের ঘরবাড়ি নিমজ্জিত হয়েছিল, তারা এখনও বাঁধের ওপর নিজস্ব উপায়ে ঝুপড়ি তুলে নিরাপদ স্থানেই অবস্থান করছেন। কেউ কেউ বাড়ি ফিরলেও আবারও পূর্বের আশ্রয় কেন্দ্রেই ফিরে এসেছেন। যদিও জেলার ওইসব উপজেলায় উপজেলা প্রশাসন থেকে ১৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্র আগে থেকেই নির্ধারিত বা চিহ্নিত করা আছে, তাই বন্যার বেশি অবনতি হলে সেসব কেন্দ্রে বন্যার্তদের সরিয়ে নেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলো থেকে এখনও পানিবন্দি লোকজনের তেমন কোনও তথ্য আসেনি। তারপরেও আমাদের দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা ভান্ডার থেকে ৫টি উপজেলায় ১৭৫ মেট্রিক টন ক্ষয়রাতি চাল এবং ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা আপদকালীন আগাম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’

যমুনার পানি বাড়ায় বিভিন্ন বাঁধ পরিদর্শন করছেন পাউবোর প্রকৌশলীরাতিনি জানান, সিরাজগঞ্জ জেলা যেহেতু উপকূল অঞ্চল নয়, তাই বারবার বন্যা হবার কারণে এ জেলার মানুষজন আগে থেকেই অভিজ্ঞ। তাই বাঁধের বাইরে যাদের ঘরবাড়িতে পানি উঠছে, তারা নিজ উদ্যোগে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছেন।  

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো), সিরাজগঞ্জ পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ (পওর) শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম পিইঞ্জ সোমবার সকালে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৪৬ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৬ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী পানি আরও বাড়বে। পানি ৫০ থেকে ৬০ সে.মি. বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। বর্তমানে জেলার ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধগুলো নিবিরভাবে পর্যবেক্ষণে  রেখেছি। কোথাও কোনও সিপেজ বা পানি চুয়ানো দেখলেই তাৎক্ষণিক বালির বস্তা দিয়ে সুরক্ষার উদ্যোগ নিচ্ছি।’

/বিএল/