কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার একডালা ইউনিয়ন ও এর আশেপাশের মোট ৩ হাজার ২২০ হেক্টর উচু জমিতে আউশ ধানের চাষ করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১০০ হেক্টর আউশ ধান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। আর ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির ধান ইতোমধ্যে কাটা হয়েছে।
উপজেলায় হঠাৎ করে উজানের পানি নেমে আসার কারণে বন্যা দেখা দেওয়ায় কৃষকরা একটু আগেই ধান কাটা শুরু করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে আউশ ধানের ফলন হয়েছে প্রায় ১৫ মণ। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকের বাড়ির উঠানে চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ।
ডাকাহার গ্রামের কৃষক আক্কাস আলী বলেন, যদিও বন্যার পানি এখনও আমাদের মাঠে প্রবেশ করেনি। তবুও বন্যার ভয়ে একটু আগেই সাত বিঘা জমির আউশ ধান কাটা শুরু করেছি। ফলন ভাল হয়েছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এসএম গোলাম সারওয়ার জানান, উপজেলায় বন্যার পানি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারণে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পানি দ্রুত নেমে না যাওয়ার কারণে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন ফসলের ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। তবে উপজেলার একাডালা ইউনিয়ন ও তার আশপাশের উচু জমিতে আউশ ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি। এবার আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বন্যার কারণে কৃষকদের অগ্রিম ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদি মাঠের পানি আগামী সাতদিনের মধ্যে নেমে যায় তাহলে জমিতে আবার স্বল্পকালীন বিভিন্ন প্রজাতির ধান লাগানোর সুযোগ পাবেন কৃষকরা। কৃষকদের প্রতিনিয়তই বন্যা পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন:
কুয়াকাটায় বাসস্ট্যান্ডের অভাবে পর্যটকদের ভোগান্তি চরমে