এমপি’র অভিযোগে বরখাস্ত সেই দুই স্টেশন মাস্টার কাজে ফিরলেন

সিরাজগঞ্জস্ত্রীকে তুলে দিতে এসে চলন্ত ট্রেন থেকে নামার সময় পড়ে গিয়েছিলেন সিরাজগঞ্জ ৪ আসনের এমপি তানভীর ইমাম। উল্লাপাড়া স্টেশনে এই ঘটনার পর এমপির অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় স্টেশনের দুই মাস্টারকে। তবে তাদের বরখাস্তের সেই আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। দুই জনই কাজে যোগ দিয়েছেন।

পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগ পাকশীর বিভাগীয় ট্রাফিক অফিসার শওকত জামিল মোহসীর আদেশে ওই দুই স্টেশন মাস্টারের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে তাদের কর্মক্ষেত্রে যোগদান করতে বলা হয়।

পাকশী রেল বিভাগের ডিভিশনাল ম্যানেজার (ডিআরএম) অসিম কুমার তালুকদার মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘উল্লাপাড়ার সাংসদ ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়ার পর তার অভিযোগের কারণে দুই স্টেশন মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে রেল বিভাগের গঠিত তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদেশ প্রত্যাহার করে তাদের সসম্মানে কাজে যোগদান করতে বলা হয়েছে।’

সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের পর উল্লাপাড়া স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আব্দুল বাতেন মঙ্গলবার সকাল থেকে আবার কর্মস্থলে যোগদান করেন। এর আগে পাকশী রেল কর্তৃপক্ষের মৌখিক আদেশে কাজ যোগ দিয়েছিলেন স্টেশন মাস্টার এসএম শামসুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা অপরাধ করিনি, তারপরও বিনা অপরাধে আমাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।’

প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর উল্লাপাড়া স্টেশনে এসে ঢাকাগামী চিত্রা আন্তঃনগর ট্রেনে স্ত্রীকে তুলে দিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে আহত হন এমপি তানভীর ইমাম। এ ঘটনায় তারই কয়েকজন সমর্থক বিক্ষুব্ধ হয়ে স্টেশন মাস্টারকে গালমন্দ করেন। এছাড়া সহকারী স্টেশন মাস্টারকে সিগন্যালের পতাকার লাঠি দিয়ে পেটান বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর এমপি রেল কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিলে দুই স্টেশন মাস্টারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বিষয়টি নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনসহ একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুন- পা পিছলে পড়লেন এমপি, কপাল পুড়লো দুই স্টেশন মাস্টারের