বগুড়ায় ছাত্রী ধর্ষণ মামলা শিশু আদালতে স্থানান্তর

ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি তুফান সরকার (ফাইল ছবি)বগুড়ার বহুল আলোচিত ছাত্রী ধর্ষণ মামলাটি প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (শিশু আদালতে) স্থানান্তর করা হয়েছে। সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে তুফান সরকার ও তার বাহিনীর আট সদস্যকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় মামলার পরবর্তী তারিখ ২৩ নভেম্বর ধার্য করে সেটি শিশু আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালতের জিআরও এসআই মোজাহার আলী জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় সোমবার ধার্য তারিখে চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি তুফান সরকার, তার স্ত্রী তাছমিন রহমান আশা, শ্যালিকা পৌর কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকি, তাদের মা লাভলী রহমান রুমি, তুফান বাহিনীর সদস্য আতিকুর রহমান আতিক, মো. মুন্না, আলী আজম দিপু, মেহেদী হাসান রূপম ও এমারত আলম খান জিতুকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলালতে হাজির করা হয়। এ মামলার অপর আসামি সামিউল হক শিমুলকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। হাজিরার জন্য তুফান সরকারকে গত শনিবার বিকালে কাশিমপুর কারাগারের হাইসিকিউরিটি সেল থেকে বগুড়া জেলে আনা হয়।

জিআরও এসআই মোজাহার আলী আরও  জানান, আদালত মামলাটি প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (শিশু আদালতে) আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ মামলার পরবর্তী তারিখ ২৩ নভেম্বর। এছাড়া নির্যাতন মামলায় তুফানসহ অন্য আসামিদের ২৫ অক্টোবর আদালতে হাজির করা হবে।

বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার রফিকুল ইসলাম জানান, আদালতে হাজির করতে গত শনিবার বিকালে তুফান সরকারকে কাশিমপুর কারাগার থেকে এখানে আনা হয়েছে। দুটি মামলায় হাজিরা শেষে তুফানকে আবার কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই বগুড়ার এক কিশোরীকে কলেজে ভর্তি করানোর নামে তাকে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানতে পেরে তুফানের স্ত্রী আশা তার বোন পৌর কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকির সহায়তায় ২৮ জুলাই শালিস সভা বসিয়ে নির্যাতিতা ও তার মায়ের চুল কেটে দেয়। পরে নাপিত ডেকে তাদের মাথা ন্যাড়া করিয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দেয়। স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে ভর্তি করালে সে রাতেই তুফানসহ তার তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৯ জুলাই তুফানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী। গত ১০ অক্টোবর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছাত্রী ধর্ষণ, মা ও ছাত্রীকে নির্যাতনের মামলায় পৃথক দুটি চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার ওসি (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ। ধর্ষণের মামলায় ১০ জন ও নির্যাতন মামলায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। দুটি মামলায় বহিষ্কৃত শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার প্রধান আসামি।

এ সংক্রান্ত আরও খবর: