বগুড়ায় যুবলীগকর্মীকে হত্যার ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

 

বগুড়াবগুড়ায় যুবলীগকর্মী আবু সাঈদ শেখকে (২৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রবিবার (১২ নভেম্বর) নিহতের ভাই জেলা যুবলীগ সদস্য সামসাদ আলম সদর থানায় এ মামলা করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, চাঁদাবাজি ও ছিনতাইসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাতে শহরের কলোনির করতোয়া সড়কে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। সদর থানার ওসি (তদন্ত) আসলাম আলী জানান, এজাহার হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মামলার আসামিরা হলেন- বগুড়া শহরের চকলোকমান এলাকার আবদুর রশিদ দারোগার ছেলে আহসানুল কবির রাসেল, তাই ভাই রয়েল, বৃন্দাবনপাড়ার চাঁন মিয়ার ছেলে পিয়াস, বাদুড়তলার টুলু মিয়ার ছেলে ফজলে রাব্বী মিথুন, চকফরিদের নুরুল ইসলামের ছেলে জালাল আহমেদ ঝন্টু, তার ভাই কামাল হোসেন মিলন, সুত্রাপুর ফেলানীপট্টির মৃত মানিকের ছেলে বিজয়, মালগ্রামের রাশেদ ও চকলোকমানের জামালের ছেলে মনির।

বাদী জেলা যুবলীগের সদস্য সামসাদ আলম জানান, ছোট ভাই আবু সাঈদ তার ঠিকাদারি সাইড দেখাশোনা করার পাশাপাশি যুবলীগের রাজনীতি করতো। চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে শুক্রবার রাতে সাইডে যাওয়ার সময় কলোনি এলাকায় তার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে।

তিনি দাবি করেন, আসামিরা বর্তমানে কোনও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু জানান, এ হত্যাকাণ্ডের শিকার ও জড়িতরা কেউ যুবলীগের নয়।

তবে নাম-পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী জানান, বগুড়া শহরে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ইজিবাইকে চাঁদাবাজি নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠনের কিছু নেতাকর্মীর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে গত বৃহস্পতিবার বিকালে শহরে সার্কিট হাউজের কাছে ইজিবাইক স্ট্যান্ডে ইসলাম হোসেন (৩২) নামে এক যুবলীগ নেতা ছুরিকাহত হন। তাকে ছুরিকাঘাতের প্রতিশোধ নিতেই গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে শহরের কলোনি এলাকায় প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে আবু সাঈদকে কুপিয়ে হত্যা করে।

তারা আরও বলেন, সাঈদ হত্যা মামলার আসামিরা যুবলীগকর্মী ও সমর্থক। কিন্তু চাপের মুখে এ হত্যা মামলার বাদী সামসাদ আলম ঘাতকদের রাজনৈতিক পরিচয় গোপন করছেন।