রাবিতে ছাত্রী অপহরণ: রিমান্ড শেষে দুই আসামি কারাগারে

 

গ্রেফতার সাবেক স্বামী সোহেল রানা ও তার সহযোগী জাহিদুলরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতার সাবেক স্বামী সোহেল রানা ও তার সহযোগী জাহিদুল ইসলামকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকালে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর ইসমাইল হোসেন এ তথ্য  নিশ্চিত করেছেন। 

ইন্সপেক্টর ইসমাইল হোসেন জানান, জিজ্ঞাসাবাদে মূল আসামি সোহেল জানিয়েছে অপহরণের আগের দিন সন্ধ্যায় সে রাজশাহী আসে। তার সঙ্গে মাইক্রোবাস চালক জাহিদুল, ঢাকার নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মনির ছিল। রাতে তারা রাজশাহীতে অবস্থানের পর সকালে মাইক্রোবাস নিয়ে ক্যাম্পাসে যায়। তারা তিনজনই মূলত অপহরণের সঙ্গে যুক্ত ছিল।  তবে তিনি মনিরের পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা জানাতে পারেনি। তারা ঢাকায় একসঙ্গে থাকতো বলে তিনি জানান। পুলিশ মনিরের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় বের করাসহ এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত ছিল কিনা তা জানতে কাজ করছে।

তিনি বলেন, আসামিদের একদিনের রিমান্ড শেষে সোমবার বিকেল ৩টায় আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তিনি আরও বলেন, এক বছর আগে ওই ছাত্রীর সঙ্গে সোহেলের বিয়ে হয়। কিছুদিন আগে স্বামীকে তিনি তালাক দেন। বিচ্ছেদ ঠেকাতে স্ত্রীকে শুক্রবার ক্যাম্পাস থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান সোহেল রানা। জোরপূর্বক ডিভোর্স প্রত্যাহার করানোর জন্য তাকে ঢাকায় কাজী অফিসেও নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ওই ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তাপসী রাবেয়া হল থেকে বের হয়ে বিভাগে যাচ্ছিলেন। এসময় ফজিলাতুন্নেসা হলের সামনে থেকে তাকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় সোহেল ও তার সহযোগীরা। ওইদিন সন্ধ্যায় মতিহার থানায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অপহরণ মামলা করেন। শনিবার ঢাকার মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।