গৃহবধূর চুল কর্তন: স্বামী-শ্বশুর গ্রেফতার

বগুড়াবগুড়ার নন্দীগ্রামে গৃহবধূ মাহমুদা খাতুনের মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় তার স্বামী উকিল উদ্দিন ও শ্বশুর আশরাফ আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) গ্রেফতার বাবা-ছেলেকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইনামুল হক এ খবর নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে ওই গৃহবধূ নন্দীগ্রাম থানায় মামলা করেন। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) মধ্যরাতে উপজেলার চাপিলাপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। গৃহবধূর অভিযোগ, যৌতুক ও মাদক ব্যবসার জন্য টাকা না দেওয়ায় তার চুল কেটে ফেলেছেন তার স্বামী। 

এসআই ইনামুল হক ও প্রতিবেশীরা জানান, উকিল উদ্দিন (২৫) নন্দীগ্রাম উপজেলার চাপিলাপাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। প্রায় ৬ বছর আগে পাশের গোছন গ্রামের ইয়াদুল ইসলামের মেয়ে মাহমুদা খাতুনকে (২২) বিয়ে করেন। তাদের হযরত আলী নামে চার বছরের এক সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে উকিল উদ্দিন ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য মাহমুদার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছেন। অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসা করাতেন না। চিকিৎসার টাকার জন্য মাহমুদা গত সোমবার বাবার বাড়িতে আসেন। দু’দিন থাকার পর বুধবার বাবা-মা তাকে এক হাজার টাকা দিয়ে জামাই বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে উকিল উদ্দিন আবারও যৌতুকের টাকার জন্য তাকে মারধর ও গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে তার কাছে চিকিৎসার জন্য বাবা-মায়ের দেওয়া ওই এক হাজার টাকা দাবি করেন। মাহমুদা টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় উকিল ক্ষিপ্ত হয়ে আবার মারধর শুরু করেন। মাহমুদা চিৎকার দিলে তিনি দরজা বন্ধ করে তার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালান। ব্যর্থ হয়ে উকিল উদ্দিন কাঁচি দিয়ে মাহমুদার মাথার লম্বা চুল কেটে দেন।

এসআই ইনামুল হক জানান, মাহমুদা বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এর পর অভিযান চালিয়ে স্বামী উকিল উদ্দিন ও শ্বশুর আশরাফ আলীকে গ্রেফতার করা হয়। শাশুড়ি আত্মগোপন করায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।