মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তানোর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের বলেন, ‘মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।’
এসআই আবুল খায়ের আরও বলেন, ‘আসামিদের প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তবে আদালতে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি। বিচারক আসামিদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। পরবর্তীতে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে।’
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, আটকের সময় এই তিন জঙ্গি নাশকতার পরিকল্পনা করতে গোপন বৈঠক করছিল। রিমান্ড মঞ্জুর হলে তারা কবে, কোথায় নাশকতা ঘটাতো সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলবে বলে তিনি আশা করেন।
আসামিরা হলেন- তানোরের বিলশহর গ্রামের মৃত. জহুর মণ্ডলের ছেলে সাহেবজান আলী (৩৫), জেকের আলীর ছেলে আবুল কালাম আজাদ (২৮) এবং খলিল উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আলম (২৮)। রবিবার ভোররাতে সাহেবজানের বাড়িতে গোপন বৈঠকে বসলে তাদের আটক করে র্যা ব-৫ এর একটি দল। এ সময় ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ৫০০ গ্রাম গান পাউডার, দুটি জিহাদি বই, ৪০ গ্রাম সোডা, সম পরিমাণ চুন, পাঁচটি হ্যান্ডনোট, সাতটি জিহাদি লিফলেট ও বোমা তৈরির নানা সরঞ্জাম।
আটকের পর এই তিন জঙ্গিকে তানোর থানায় সোপর্দ করে র্যা ব। থানায় র্যা বের এসআই হারুন আর রশিদ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করে।