নিহতরা হলেন- গোমস্তাপুর উপজেলার বাংগাবাড়ি ইউনিয়নের বেগুনবাড়ি গ্রামের আকতারা বেগম ও নজরুল ইসলাম দম্পতি এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নামোশংকরবাটি গ্রামের বিলকিস আরা বানু ও হাসান ইমাম। তবে হাসান ইমামের দেশের বাড়ি পঞ্চগড় জেলায়। বৈবাহিক ও চাকুরিসূত্রে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জেও বাস করতেন। চাকরিসূত্রে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তারা অবস্থান করলেও অবসরের পর চারজনই রাজশাহীতে বসবাস করছিলেন।
নজরুল ইসলাম ও আকতারা বেগমের দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে গৃহিনী ও ছোট মেয়ে ডাক্তার। অন্যদিকে বিলকিস ও হাসান ইমাম দম্পতির দুই ছেলে দুজনেই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ও কানাডায় বাস করেন।
শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামের মৃত তাজিমুল মাস্টারের মেয়ে নিহত আকতারা বেগম পেশায় ছিলেন একজন শিক্ষক। তিনি রাজশাহী মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত গেম টিচার ছিলেন।
আর গোমস্তাপুর উপজেলার বাংগা বাড়ির বেগুনবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম মাস্টারের ছেলে নিহত নজরুল ইসলাম রাজশাহী শিল্প ব্যাংকে চাকরি করতেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন।
আকতারা বেগমের ভাগ্নে খালিদ মাহমুদ জানান, ‘চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর খালা-খালু নেপালে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাদের আর বেড়ানো হলো না। তারা চলে গেলেন না ফেরার দেশে।’ তিনি আরও বলেন, ‘খালা-খালু রাজশাহীতেই বসবাস করতেন। এ দুর্ঘটনায় আমরা মর্মামত। আত্মীয়-স্বজন এখন লাশের অপেক্ষায়।’
অন্যদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নামোশংকরবাটি গ্রামের মৃত. আব্দুর রকিব আলীর মেয়ে নিহত বিলকিস আরা বানু পেশায় ছিলেন কলেজ শিক্ষক। তিনি গোপালপুর কলেজের অর্থনীতির শিক্ষক ছিলেন। আর তাঁর স্বামী হাসান ইমাম ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব।
বিলকিস আরা বানুর মামাতো বোন আকতার জাহান আলী জানান, ‘তারা অবসরের পর দীর্ঘদিন ধরেই রাজশাহীতে বসবাস করতেন। তাদের দুই ছেলে কানাডায় চাকরি করেন। আর কিছুদিন পরই তাদের বড় ছেলের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা ছেলের বউ দেখে যেতে পারলেন না। চলে গেলেন না ফেরার দেশে।’
তিনি আরও জানান, ‘এ ঘটনায় আমরা খুবই শোকাহত। আমরা এখন চাই তাদের লাশগুলো দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।’