রীতি অনুযায়ী বিভিন্ন হাট-বাজারের দোকানগুলোতে হালখাতার আয়োজন করার কথা ছিলো পহেলা বৈশাখে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষকদের ফসল ঘরে তুলতে দেরি হওয়ায় ব্যবসায়িরা বৈশাখের পরিবর্তে জ্যৈষ্ঠের প্রথম দিন থেকে শুরু করেছেন হালখাতা। হালখাতার উৎসব উপলক্ষে আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর, নওদুলী, কাশিয়াবাড়ি, শাহাগোলা, বান্ধাইখাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ দোকানেই চলছে ধোয়া-মোছা ও হিসাব-নিকাশের কাজ। আবার কেউ নতুন বছর উপলক্ষে পুরো দোকানেই নতুনত্ব আনার জন্য পুরোনো জিনিসপত্রে রং করার কাজ শেষ করেছেন। দোকানগুলো সাজানো হয়েছে হালখাতা উদযাপনের নানা উপকরণ দিয়ে। দূরের ক্রেতাদের কার্ড বা ফোনের মাধ্যমে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। এখন চলছে আশপাশের ক্রেতাদের দাওয়াতের কাজ।
আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর বাজারের সওদা ফ্যাশন অ্যান্ড ক্লথ স্টোরের মালিক আলহাজ মো. আব্দুর রশিদ বলেন, টআমার পূর্ব পুরুষরাও হালখাতা করেছেন। ঐতিহ্য হিসেবে তাই আমরাও এই উৎসবটি আনন্দের সঙ্গে পালন করে থাকি। পাশাপাশি অনেক পাওনা টাকাও আদায় হয় এই উৎসব উপলক্ষে।’
এ বিষয়ে ভাই ভাই বস্ত্রালয় অ্যান্ড গার্মেন্টস এর মালিক মো. বাবর আলী শেখ বলেন, ‘প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকে হালখাতার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। দোকান পরিষ্কার, মেরামত, দাওয়াত কার্ড ছাপানো আর ক্রেতাদের দাওয়াত দেওয়া চলছে।’