অভিযান চললেও ধরাছোঁয়ার বাইরে নওগাঁর গডফাদাররা

নওগাঁমাদকবিরোধী অভিযানে নওগাঁয় প্রতিদিনই ধরা পড়ছে ছোট-খাটো মাদক ব্যবসায়ীরা। তবে এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসার গডফাদাররা। প্রশাসনের দাবি, তাদের ধরতে প্রতিদিনই পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,  নওগাঁ শহরের কুমাইগাড়ী এলাকায় প্রায় ২০ বছর ধরে মাদক ব্যবসা করছে ফোবেল হোসেন (৫০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী। ইয়াবার পাইকার এ ব্যবসায়ী জেলা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে এ মাদকটি সরবরাহ করে। শহরজুড়ে তার আধিপত্যও আছে বেশ। রাজনৈতিক নেতা কিংবা প্রশাসন সবাই তাকে এক নামে চেনে। অভিযান শুরু পর গা ঢাকা দিয়েছে ফোবেল।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অভিযান শুরুর পর থেকেই ফোবেলকে দেখতে পাচ্ছেন না তারা। স্ত্রী-সন্তানরা আছেন নওগাঁ শহরের কুমাইগাড়ী বাইপাস সড়ক সংলগ্ন নিজ বাড়িতেই। তবে তারাও জানেন না ফোবেলের অবস্থান সম্পর্কে।

শুধু ফোবেল নয়, শহরের বাঙ্গাবাড়ীয়া বিহারি কলোনির কামাল বিহারি, কাজীর মোড় এলাকার নারী মাদক ব্যবসায়ী মৌসুমি আখতার, বোয়ালিয়া মহল্লার ইমরান হোসেন, নুনিয়া পাড়া বাজার এলাকার নয়ন হোসেন, সদর উপজেলার সালেবাজ গ্রামের মিলন হোসেন ও টফি আখতারসহ আরও ৬ মাদক ব্যসায়ীও আছে গডফাদারদের তালিকায়। যারা প্রত্যেকেই এখন গা ঢাকা দিয়ে আছে।

তাদের পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে তারা তাদের দেখতে পাচ্ছেন না। মাঝে মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন এসে খোঁজ করে বলেও জানান তারা।

এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি কেএম সামসুদ্দিন জানান, এসব চিহ্নিত গডফাদারদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।  আত্মীস্বজনদের কাছ থেকে তথ্য বের করার চেষ্টা চলছে। তাদের অবস্থান সম্পর্কে কোনও ক্লু পেলেই গ্রেফতার করা হবে।

জেলা পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুতই এই গডফাদাররা গ্রেফতার হবে।

আরও পড়ুন:

 গা ঢাকা দেওয়ায় গ্রেফতার করা যাচ্ছে না মাদক ব্যবসায়ীদের

নারিকেলের ভেতর ইয়াবা

 

মাদক ব্যবসায়ীর পক্ষ নিয়ে নির্দোষ ব্যক্তিকে ফাঁসালেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা?

অভিযানের মুখে ডিজিটাল পদ্ধতির আশ্রয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা!