সারিয়াকান্দিতে পানি বিপদসীমার ওপরে, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত





বন্যা কবলিতরা নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছেনবগুড়ার সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিন্টার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ায় তীরবর্তী চরের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানি বাড়িঘরে ঢুকে পড়ায় দুর্গতরা বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ, উঁচু স্থান ও দূরে স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। চরাঞ্চলের ৬১৫ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদুজ্জামান জানান, চালুয়াবাড়ী, কাজলা, বোহাইল, হাটশেরপুর, কুতুবপুর ও সদর ইউনিয়নের কয়েকটি চরের তিন হাজার ১৮৫ জন কৃষকের ৫০ হেক্টর জমির বীজতলা, ৩৯৫ হেক্টর রোপা আমন, একশ হেক্টর মাসকালাই, ৫৫ হেক্টর মরিচ, ১৫ হেক্টর সবজিসহ ৬১৫ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল আলম জানান, চরাঞ্চলের ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় সারিয়াকান্দির মথুরাপুর গজ স্টেশনে পানি চার সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বিকাল ৩টায় পানি কমে ১৮ সেন্টিমিটারে নেমে আসে।’ তবে আজ শুক্রবার সকালে তা সাত সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।