মঙ্গলবার দুপুরে নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি ল্যাবে এই পদ্ধতির উপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন রিজিয়া আফরিন। তিনি বলেন, মানুষবিহীন স্বয়ংক্রিয় রেলগেট নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে দেশের দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব। তার উদ্ভাবিত পদ্ধতি আগের তৈরি যে কোনো পদ্ধতির থেকে অনেক সাশ্রয়ী বলেও দাবি করেন তিনি। তার উদ্ধাবিত পদ্ধতিতে একটি সেন্সরের মাধ্যমে ট্রেন আসার কিছুক্ষণ আগে সেটিকে শনাক্ত করা হবে। ট্রেন শনাক্ত হওয়ার সাথে সাথে রেলগেট নিচে নেমে আসবে এবং একইসাথে রেলগেটের পাশে লালবাতি জ্বলে উঠবে। এরপর যতক্ষণ ট্রেন না চলে যাবে, ততক্ষণ গেট নামানো থাকবে। ট্রেন ওই গেট পার হয়ে চলে যাওয়ার পর স্বয়ংক্রিয় ভাবেই গেট উপরে উঠে যাবে।
এনবিআইইউ’র ইইই বিভাগের কো-অর্ডিনেটর রাকিবুল হাসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন রিজিয়া আফরিন। তার এই কাজে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিভাগের শিক্ষক মিল্টন কুমার কুন্ডু।তিনি আরও বলেন, স্বয়ংক্রিয় রেলগেট নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে রেলেগেটে কোনো আলাদা লোকবলের প্রয়োজন হবে না। অনেক কম খরচে রেলগেট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। অর্থায়নের মাধ্যমে এই প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করা সম্ভব হবে বলে আশা করেন উদ্ভাবক।
এনবিআইইউ’র ইইই বিভাগের শিক্ষক মিল্টন কুমার কুন্ডু বলেন, সচরাচর আমরা দেখে থাকি, যেসব এলাকায় রেললাইন একটি সড়কের উপর দিয়ে আড়াআড়িভাবে যায়, সেখানে সাধারণত একজন গেটম্যান থাকেন। তার কাজ হচ্ছে রেলগেটে ট্রেন এসে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে দুই পাশের গেট নামিয়ে দেওয়া। যাতে করে যানবাহন কিংবা মানুষজনের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু মানুষের সহায়তা ছাড়াই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ট্রেন আসার সাথে সাথেই যদি গেট নামিয়ে ফেলা গেলে দুর্ঘটনার পরিমাণ কমে আসবে।