বুধবার বিকালে এ খবর পাঠানোর সময় পুলিশ তাদের নিয়ে পলাতক তিন আসামিকে গ্রেফতার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো বরিশালের মেহেদীগঞ্জ উপজেলার বলিয়া গ্রামের ইউনুস মোল্লার ছেলে শাহাবুদ্দিন (৩৮), ঝালকাঠির নলসিটি উপজেলার কাঠিপাড়ার আবদুর রহমানের ছেলে সুমন ওরফে সোহেল (২৮), শরীয়তপুরের সখিপুর উপজেলার কানুঘুঘু সাহেবেরকান্দির নুরুল হক প্রধানের ছেলে ফরহাদ হোসেন (৩৫), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কনিকোড়া গ্রামের মৃত আরজ মিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন (৪০) ও টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার হলদিহাটা গ্রামের মৃত মোসলেম ফকিরের ছেলে মাইক্রোবাস চালক সুরুজ (২৭)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, নন্দীগ্রাম উপজেলার দমদমা গ্রামের তসির উদ্দিনের ছেলে ধান ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বাবু মঙ্গলবার বিকালে ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে ৫ লাখ টাকা তুলে সিএনজি অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন। রিকশা নামুইট এলাকায় পৌঁছালে একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা-মেট্রো-ট-১৯-২৯৩৮) তার পথরোধ করে। এরপর আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ী বাবুকে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। অটোরিকশা চালক ঘটনাটি বাবুর পরিবারকে জানালে তারা নন্দীগ্রাম থানা ও ডিবি পুলিশে খোঁজ করে বাবুর সন্ধান পাননি। পরে গ্রামের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে মাইক্রোবাস ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে সন্ধ্যার পর চাকলমা বাজারে মাইক্রোবাসটি দেখে জনগণের সন্দেহ হয়। তারা মাইক্রোবাস ঘেরাও করলে ডাকাতরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন বিক্ষুব্ধ জনতা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বাবুকে উদ্ধার ও ৫ ডাকাতকে আটক করে পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মাইক্রোবাসসহ ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার ও তাদের কাছ থেকে ৫ লাখ ৭ হাজার টাকা, একটি ওয়্যারলেস সেট, একজোড়া হ্যান্ডকাফ ও একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করে।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, গ্রেফতার ৫ জন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। ডাকাতির শিকার ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বাবু থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ২-৩ জনের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছেন। বুধবার বিকালে পুলিশ তাদের নিয়ে অপর আসামিদের গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।