বগুড়ায় মাকে হত্যায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড

মাকে হত্যায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড

বগুড়ার কাহালুতে বাড়ি করার জায়গা লিখে না দেওয়ায় মা রওশন আরাকে (৫৬) ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলায় ছেলে রায়হানকে (৪৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বগুড়ার তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. গোলাম ফারুক রবিবার দুপুরে এ রায় দেন।

আদালত সূত্র জানায়, বগুড়ার কাহালু উপজেলার বাথই গ্রামের আবদুর রহমান বাচ্চুর একমাত্র ছেলে রায়হান বেশ কয়েকটি বিয়ে করায় বাবা-মার সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হয়। এছাড়াও তারা অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে সে পার্শ্ববর্তী কাজীপাড়ায় বসবাস করতে থাকে। গত ২০০৯ সালের ২৭ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রায়হান বাড়িতে এসে তার বাবা-মাকে জায়গা লিখে দিতে বলেন। এতে তারা রাজি না হলে সে ক্ষুব্ধ হয়ে মা রওশন আরার বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে। এসময় বাবা আবদুর রহমান বাচ্চু, বোন রাবেয়া খাতুন ও খালা অলেদা খাতুন এগিয়ে আসলে রায়হান তাদের মারধর ও ছুরিকাঘাত করে। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে ঘাতক পালিয়ে যায়। রওশন আরাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে বোন রাবেয়া খাতুন কাহালু  রায়হানের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ রায়হানকে গ্রেফতার করে।

কয়েক বছর আগে বগুড়ার তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাকে হত্যার দায়ে রায়হানকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এ ব্যাপারে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। পরবর্তীতে হাইকোর্ট থেকে ফ্রেস ট্রায়ালের জন্য মামলাটি ফেরত পাঠানো হয়। সাক্ষী পরীক্ষা শেষে আদালত ৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার দুপুরে আসামি রায়হানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় রায়হান আদালতে উপস্থিত ছিল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পিপি পদ্ম কুমার দেব ও জহুরুল ইসলাম এবং আসামি পক্ষে স্টেট ডিফেন্স অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন মামলাটি পরিচালনা করেন।